বিশেষ প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নিউমুরিং ভোলা ফকিরের বাড়ির রাস্তাটি দীর্ঘদিনের অবহেলা, জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। বছরের পর বছর ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সিটি করপোরেশনের উদাসীনতায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়া এই সড়ক অবশেষে সংস্কার হওয়ায় এলাকাবাসীর মুখে এখন স্বস্তির হাসি।
এই রাস্তাটির সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে ৩৯ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামী’র উদ্যোগ, ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সড়কটির উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম-১১
(বন্দর-পতেঙ্গা-ইপিজেড) আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জননেতা শফিউল আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলাকাবাসীর উপস্থিতি ছিল উপচেপড়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শফিউল আলম বলেন,“রাজনীতির লক্ষ্য শুধু ক্ষমতা দখল নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। দক্ষিণ হালিশহরের এই রাস্তা বহু বছর ধরে অবহেলিত ছিল। জনগণ উন্নয়নের আশায় ভোট দিয়েছে, কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি ভুলে গেছেন। আমরা জনগণের অর্থে জনগণের কল্যাণে কাজ করছি। ইনশাআল্লাহ, সুযোগ পেলে এই এলাকার প্রতিটি রাস্তা, ড্রেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে আমূল পরিবর্তন আনা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার উন্নয়নের নামে হাজার কোটি টাকা ব্যয় দেখালেও তার সুফল সাধারণ মানুষের জীবনে নেই। দুর্নীতি, লুটপাট ও অব্যবস্থাপনায় জনগণ আজ হতাশ। আমরা এই বাস্তবতায় সরাসরি মাঠে নেমে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৩৯ নং ওয়ার্ড জামায়াত মনোনীত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোঃ শাহেদ, ওয়ার্ড কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ ফখরুল ইসলাম, জি এম রাসেল, মোঃ আনিসুর রহমান, আবদুর রহিমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শতাধিক এলাকাবাসী।
রাস্তা সংস্কারের পর স্থানীয় বাসিন্দারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন—“বছরের পর বছর এই রাস্তায় চলাচল ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা, শুকনো মৌসুমে ধুলাবালির যন্ত্রণা—সবই আমাদের নিত্যদিনের কষ্ট ছিল। এখন রাস্তা নতুনভাবে সংস্কার হওয়ায় আমরা যেন নতুন জীবন পেলাম। জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি তারাই, যারা মাঠে নেমে জনগণের কষ্ট লাঘব করে।”
চট্টগ্রাম নগরের ঘনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ হালিশহর দীর্ঘদিন ধরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। সড়ক, ড্রেনেজ ও আলোবাতি ব্যবস্থার বেহাল দশা এলাকাটিকে নগর উন্নয়নের মানচিত্র থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। এই অবস্থায় জামায়াতের এই উদ্যোগ স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিচ্ছে—“যারা প্রতিশ্রুতির রাজনীতি করে তারা ব্যর্থ, আর যারা মাঠে নেমে কাজ করে, তারাই প্রকৃত জননেতা।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন,চট্টগ্রামের এই মাঠপর্যায়ের জনসেবামূলক কার্যক্রম শুধু একটি রাস্তা সংস্কারের ঘটনাই নয়—এটি এক নতুন রাজনৈতিক বার্তা।নাগরিকরা এখন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে নয়, কাজের বাস্তবতায় আস্থা রাখতে শুরু করেছেন। যদি জামায়াত এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারে, তবে চট্টগ্রাম-১১ আসনের ভোটাররা আগামী নির্বাচনে “প্রতিশ্রুতি নয়, কর্মই রাজনীতি” এই স্লোগানকে ভিত্তি করে নতুন এক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
Leave a Reply