চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশের গেট পাস ফি এক লাফে চারগুণ বৃদ্ধি করায় পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
১৪ অক্টোবর ২০২৫ রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হওয়া নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন্দরে প্রবেশের ফি ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
প্রতিদিন বন্দরে মালামাল আনা-নেওয়ার কাজে হাজারো ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার প্রবেশ করে।
হঠাৎ ফি বৃদ্ধির ফলে এসব যানবাহনের চালক ও মালিকরা আর্থিক চাপে পড়ে পড়েছেন।
অন্যদিকে মালিক পক্ষের অভিযোগ—গাড়ির ডকুমেন্ট নবায়ন, পারমিট ও বীমা খরচ আগেই বেড়ে গেছে।
তার ওপর অতিরিক্ত গেট পাস ফি দেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য তাদের নেই।
ফলে মালিকরা বন্দরে যানবাহন পাঠাতে অনিহা প্রকাশ করছেন, যা বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সমাজকর্মী ও শ্রমিক নেতা মো. শাহজাহান এক বিবৃতিতে বলেন—
“চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র।
শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে সহযোগিতা না থাকলে বন্দর কার্যক্রম ব্যাহত হবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তাই গেট পাস ফি হঠাৎ চারগুণ বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দ্রুত যৌক্তিক সমাধান করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন,
“চট্টগ্রাম বন্দর একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান—এটি সবার।
বন্দরের কর্মকর্তা ও পরিচালকদের উচিত শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের সঙ্গে বসে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা।
দেশের উন্নতির স্বার্থে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।”
মো. শাহজাহান – প্রধান উপদেষ্টা, নৌপরিবহন উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান, সচিব ও পরিচালকবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান—
গেট পাস ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দ্রুত পর্যালোচনা করে শ্রমিক ও মালিক উভয়ের স্বার্থ বিবেচনায় ন্যায্য সমাধান নিশ্চিত করতে।
Leave a Reply