
চট্টগ্রাম -কক্সবাজার রেলসড়কে প্রতিদিন পাথর নিক্ষেপ যেন নিয়মিত রুটিন তৈরির অংশ। ভয়ে আতংকিত যাত্রীরা।
যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে হিশমিসে পড়েছেন রেলওয়ে কতৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে সেনাবাহিনীসহ একাধিক টিম কাজ করলেও সমাধান মিলছে না। কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে রাতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাওয়া প্রবাল এক্সপেসসহ অন্য ট্রেনগুলোতে প্রতিদিন পাথর নিক্ষেপ ও মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা গড়ছে।
এতে ছিনতাইকারীর চুরিকাঘাতে আহত হচ্ছেন দেশ- বিদেশ থেকে আসা বিশ্বের সুনাম অর্জনকারী পর্যটন স্পষ্ট কক্সবাজারের পর্যটকরা ভূগছেন চরম নিরাপত্তাহীনতায়।
কক্সবাজারের থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পর্যটন এক্সেপেস দোলহাজারা,হারবাংসহ কয়েকটি এলাকায় প্রবেশ করার পর এ পাথর নিক্ষেপ শুরু হয়, যাত্রীরা অবিলম্বে এ পাথর নিক্ষেপ ও ছিনতাই কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রেল কতৃপক্ষ ও প্রসাশনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
জানাযায় এ বছর ২০২৫ সালের জানুয়ারি হতে নভেম্বর মাসে প্রায় প্রতিদিন ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে এতে করে যাত্রীদের মাঝে চরম অতংকের সৃষ্টি হয়েছে এবং পোহাতে হচ্ছে নিরাপত্তার দূর্ভোগ।
প্রশাসন, স্থানীয় সমাজ ও রেল কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে যাত্রীদের নিরাপত্তার ভয়াবহতা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে চট্টগ্রাম -দোহাজারী কক্সবাজার রেলযাত্রী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আইয়ুব আলী জানিয়েছেন।
রেলওয়ে পুলিশ ও মোবাইল টাস্কফোর্স দ্রুত মোতায়েন, রাতে লাইটিং ও পেট্রল বৃদ্ধি, কনসিস্টেন্ট ফাইন/দণ্ড ঘোষণা।
দ্রুত সনাক্ত ও প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ক্যামেরা/রেকর্ডার/বডি-ক্যাম, ট্রেনের ভিতরে সুরক্ষিত কেবিন/শেডেড উইন্ডো।
সমাজভিত্তিক সমাধান — জান্তা/শান্তি কমিটি, স্কুল কলেজ ও মসজিদে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর মাধ্যমে জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে।
রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি সৈয়দ মিয়া হাসান বলেন দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করা হলেও রেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরও পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করা যাচ্ছে না এতে করে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাই দুর্ঘটনাস্থলে ড্রোন/মোবাইল ক্যামেরা রাউটিন: বিশেষ করে সন্ধ্যা/রাতের সময়ে সন্দেহভাজন এলাকায় ড্রোন ও মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে কারা এ অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের সনাক্ত করা সম্ভব হবে।
চট্টগ্রাম -দোহাজারী কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু সাঈদ তালুকদার খোকন বলেন চট্টগ্রাম -দোহাজারী কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি এবং যাত্রীদের সচেতন করতে আমরা লিফলেট বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি জনসাধারণকে এধরণের বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
চট্টগ্রাম -কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের মাস্টার মো. গোলাম রাব্বানী বলেন ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ গুরুত্বর অপরাধ আমরা এ বিষয়ে নিয়মিত টহল জোরদার করেছি এবং রেল পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী রেল সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে বিষয়গুলো নিয়ে একাধিক টিমসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কাজ করছি।
চট্টগ্রাম -কক্সবাজার রেলসড়কে পাথর নিক্ষেপ ও ছিনতাই বন্ধ করতে সামাজিকভাবে ও স্থানীয়দের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা সেমিনার ও প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা সময়ের দাবি।
লেখক:
যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক
চট্টগ্রাম -দোহাজারী -কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদ।
যুগ্ন সদস্য সচিব :
পটিয়া সচেতন নাগরিক ফোরাম।
Leave a Reply