“ইসমাইল (আ:)- কে কুরবানী”
-মোহাম্মদ আব্দুল হাকীম (খাজা হাবীব)
সপ্নে আল্লাহ্ তায়ালা ইব্রাহিম (আঃ) কে ফরমানঃ
“হে বৎস! সবচেয়ে প্রিয় বস্তু তুমি কর হে কুরবান।”
পুত্রের চেয়ে প্রিয় কিছু তাঁর- দুনিয়ায় আর নাই
সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি- এটাই বুঝি চায় বিধাতায়।
সপ্ন কান্ড জানালেন তিনি- পুত্র ইসমাইলের তরে
রাজি হলেন পুত্র- কুরবানী যেন আল্লাহ্ কবুল করে।
শয়তানে তাদের কাজে ধোকা- দিল যে বারে বার
ঈমানী শক্তিতে বলিয়ান তারা কে আছে হারাবার?
চক্ষু বন্ধনে মমত্ব ত্যাগে তাঁরা- সারল কার্যভার
বিধাতার ইচ্ছায় সেথায় ঘটল আশ্চর্য কারবার।
বাবার কুববানীতে পুত্র ইসমাইলের আত্মদান
পরিবর্তে আসমানী দুম্বা সেথায় হল যে কুরবান।
স্মৃতি সরূপ দুম্বার শিং রাখলেন ছাদে কাবা ঘরে
এজিদ বাহিনী আগুনে পুড়ে তা দিল বিনাশ করে।
ইব্রাহিমের কুরবানী আল্লা’র দরবারে কবুল তব হয়
মুসলিম তরে কুরবানী কিন্তু চিরকাল ওয়াজিব রয়।
ইসমাইলের উসিলায় সৃষ্টি হল- জমজম কূপের পানি
ঈমানী বলে বলিয়ান তিনি-কবুল হয়েছিল কুরবানী।
সৌজন্যেঃ মোজাদ্দেদীয়া দরবার শরীফ,মোজাদ্দেদপুর, জালালাবাদ,বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম।
Leave a Reply