ছাত্রজীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক যুদ্ধের নাম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা।উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পছন্দের সাবজেক্টে পড়াশোনা করতে কে না চায়!মেধাশক্তির এই জাতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফলতার জন্য দিনরাত এক করে দীর্ঘসময় ধরে প্রস্তুতি নেওয়ার পরও শত মানসিক চাপের মধ্যে আরেক অনিশ্চিতয়তা হলো পরীক্ষার হলে নিরাপদে ও সঠিক সময়ে উপস্থিত হওয়া।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বাঁশখালীর পরীক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপদে নিয়ে আসা এবং পরীক্ষা শেষে আবার শহরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বাঁশখালীর একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংগঠন এক টুকরো বাঁশখালী যার নাম “বাঁশখালী স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন”।
প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাঁশখালী হতে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ছিলো সম্পূর্ণ ফ্রি বাস সার্ভিস।এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ফ্রি বাসগুলো নগরীর চকবাজার অঁলি খাঁ মসজিদ মোড় থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যথাসময়ে পৌঁছে দিয়ে পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আবার শহরে ফেরত আসে।গত ২৬,২৭,২৮,২৯ই অক্টোবর তাদের এই মানবিক কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম হোসাইনী,সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শওকত আলী,সদস্য ইমন সৈয়দ,মুহাম্মদ আরিফ উদ্দীন,নেজাম উদ্দীন,রিয়াদ,মনির,মামুন,মোহাম্মদ রমিজ,ইমতিয়াজ,মঞ্জুর,জামশেদ এবং আসিফসহ আরো অনেকে। বাঁশখালীর ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থী জানান ” ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক যাতায়াত সেবাসহ সকল আন্তরিকতার জন্য বাঁশখালী স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনকে অভিভাবকই মনে হয়েছে,আমি এসোসিয়েশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এসোসিয়েশনের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম হোসাইনী বলেন,” বাঁশখালীর শিক্ষার্থীদের জন্য এই ক্যাম্পাসে ফ্রি বাস সার্ভিসসহ ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের সহয়তার জন্য বাঁশখালী স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন গর্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে”।
এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন “শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে রত্ন-ধারিনী বাঁশখালীকে একটি শান্তিপূর্ণ ও আদর্শ জনপদে রুপান্তরের জন্য আমি এবং আমার এসোসিয়েশনের প্রচেষ্টা অতীতেও ছিলো,বর্তমানে আছে,ভবিষ্যতেও থাকবে।
Leave a Reply