“চির নিদ্রায় মা যাহার”
রচনায়ঃ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব )
কেমন ছিল মাতা তোমার চির নিদ্রায় যিনি !
খাইতে গেলে শুইতে গেলে বুঝিবে তখনি।
খাইতে গেলে ধরতে বায়না দাওনা মুখে তুলে
চোখের জলে স্মরণ কর যেওনা মাকে ভুলে।
খেলতে গিয়ে ব্যথা পেলে জড়িয়ে নিত কোলে
মায়ের সোহাগে দুঃখ কষ্ট সবই যেতে ভুলে।
কেনাকাটা করতে গেলে ধরতে কত বায়না
পছন্দ হয়েছে দাও না কিনে- মা সোনা ময়না।
বেড়াতে গেলে বাপের বাড়ি ধরতে শাড়ির আঁচল
সঙ্গে যেতে না পারলে- জীবনটাই তো বিফল।
কাজ দিলে দিতে ফাঁকি গেছি মাগো ভুলে
বুঝতে পেরেও কষ্ট দেয়নি নিত বুকে তোলে।
পড়াশোনায় বসালে তোমায়- করতে ছলচাতুরি
পড়া লেখা শেষ হয়েছে -ভাত দাও তাড়াতাড়ি।
নিজের খাবার বিলিয়ে দেওয়া ছিল মায়ের স্বভাব
কোন সময় বুঝতে দেয়নি ভাত কাপড়ের অভাব।
বই পুস্তক কাপড় চোপড় গুছানো মায়ের কাজ
জুতা মোজা পড়িয়ে দিতে ছিল না কোন লাজ।
কবর পাশে গিয়ে কাঁদ ওগো মা জননী
দুঃখ দিয়েছি কত তোমায় তখন তো বুঝিনি।
সহেনা মোর প্রাণের ব্যথা বুঝাবো কেমন করে
ক্ষমা কর মাগো তোমার- অভাগা সন্তানেরে।
দোয়া করি মা সুখে থাক তুমি- চিরস্থায়ী ঘরে
চিরনিদ্রায় শায়িত থাক- জান্নাতে বাস করে।
সৌজন্যেঃ মোজাদ্দেদীয়া দরবার শরীফ,মোজাদ্দেদপুর, জালালাবাদ,বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম।
Leave a Reply