1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পটিয়ায় এপেক্স ক্লাব কর্তৃক ডাক্তার খোরশেদ আলম সংর্বধিত। চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন অধ্যক্ষ এম সোলাইমান কাসেমী “হেমন্তে নবান্ন”  মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব ) চট্টগ্রামে বিচারকের দিকে আসামির স্যান্ডেল নিক্ষেপ মাশরাফির আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন নুর ইসলাম হারবাং সার্বজনীন শ্রীশ্রী রাস মহোসব সম্পন্ন চট্টগ্রাম ৬ ও ১০ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় ফরম সংগ্রহ করলেন আলহাজ্ব সালামত আলী নগরীতে কেবি হেলথ কেয়ারের উদ্যোগে খতমে কুরআন, দোয়া মাহফিল ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ৬৯ টি আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত : ওবায়দুল কাদের চট্রগ্রাম -০৩ সন্দ্বীপ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিলেন সাবেক ছাত্রনেতা মহিউদ্দিন আহমেদ হেলাল

দিনরাত মোবাইল গেমসে কাটে সীতাকুন্ডের প্রতিটি এলাকার শিশুকিশোর সময়

  • সময় বুধবার, ৯ জুন, ২০২১
  • ১৭৯ পঠিত

মোঃ আলাউদ্দীন, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ

বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ১৪ মাস দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এমন সময়ে সীতাকুন্ডের ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার স্কুল-কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা দিনরাতের বেশীরভাগ সময় কাটাচ্ছে মুঠোফোনে ভিডিও গেমস খেলে। এমনকি অনলাইন ক্লাসের অযুহাতে অসচ্ছ্বল পরিবারের শিশুরাও দামি স্মার্টফোন কিনে গেমস খেলছে।

সীতাকুন্ড উপজেলার পৌরসভা, বারৈয়ারঢালা, বাডবকুন্ড, বাঁশবাড়ীয়া, কুমিরা, বারআওলিয়া, ফৌজদার হাট, সলিমপুর , ভাটিয়ারীসহ বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়া মহল্লায় দেখা যায়, রাস্তার মোড়ে, গাছের নিচে, খোলা কোন জায়গায়, স্কুল মাঠে, নির্জন স্থানে দলবেঁধে বসে শিশু ও কিশোররা ফোর্টনাইট, তিন পাত্তি, লুডু, জান্ডিমুন্ডা প্রি ফায়ার-পাবজি গেমসগুলো খেলছে। যে স্থানে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক কানেকশন আছে সেখানে গোপনে পাসওয়ার্ড নম্বর নিয়ে জটলা বেধে ৩০- ৪০ জনকেও একসাথে বসে গেম খেলতে দেখা যায়। গেমসের পাশাপাশি এই সব শিশু কিশোররা অধিকাংশরাই মোবাইলে অর্থের বিনিময়ে জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। যেসব শিশুর মোবাইল নেই তারা অন্যদের পেছনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলা দেখছে।

সীতাকুন্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের রুহুল আমিন নামের এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ‘এখন শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা। কিন্তু তারা শুধু মোবাইলে গেমস খেলছে। এতে শিশু-কিশোরদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। নিষেধ করলেই বাবা-মার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে তারা।

বাঁশবাডিয়ার মোহাম্মদ আলাউদ্দীন বলেন, বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল ও তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। অথচ তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়ছে গেমসের নেশায়। এসব থেকে নিজেদের ছেলেমেয়েকে ফিরিয়ে আনতে না পারলে বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’

ফৌজদারহাট কে এম হাইস্কুলের ছাত্র রাফি জানায়, ‘মোবাইল গেমস প্রথমে তার কাছে ভালো লাগত না। কিন্তু কিছুদিন বন্ধুদের খেলা দেখতে দেখতে সেও আসক্ত হয়ে গেছে। এখন গেমস না খেললে ভালো লাগে না।’

এ বিষয়ে ইন্টারনেট ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালক সাকিল জানান, গত এক বছরে আমার ইন্টারনেট সংযোগ বেড়েছে ৫০ গুনের বেশি। বছরখানেক আগে হাতেগোনা কয়েকজন নেট কানেকশন নিতেন। আর এখন প্রতিটি পাড়ায় ও ঘরে ঘরে সংযোগ দিতে হচ্ছে। নেট সংযোগ দিতেই হিমসিম খাচ্ছি।’

ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যাল্যের প্রধান শিক্ষক বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এস এম গোলাম খালেক বলেন, ‘অনলাইন ক্লাসের অজুহাতে অসচ্ছল পরিবারের সন্তানরাও অনেক দামি মোবাইল ফোন কিনছে। ছেলে-মেয়ের শিক্ষার বিষয় চিন্তা করে অভিভাবকরাও ধার-দেনা করে ফোন কেনার টাকা যোগান দিচ্ছেন। এখন বিকেল হলে শিশু-কিশোরদের স্কুলমাঠে খেলতেও দেখা যায় না।

এ বিষয়ে লতিফপুর আলহাজ্ব আব্দুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার জহুরুল আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভয়াবহ এই মোবাইল গেমসের নেশা থেকে সড়িয়ে আনতে হলে প্রথমে অভিভাকদের সচেতন হতে হবে। এলাকার মুরব্বি জনপ্রতিনিধি সবাইকে সচেতন হতে হবে। এছাড়াও ইমাম মসজিদে এ ভয়ানক গেমস খেলা থেকে বিরত রাখার বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। তাছাড়া আমি সকল শিক্ষককে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের গেমসের ভয়াবহতার বিষয়ে সচেতন করতে অনুরোধ জানাচ্ছি ।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট