1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুমিনদের শান্তির ঠিকানা- মহানবীর রওজা- মদিনার মনোয়ারা। -আলমগীর আলম পটিয়ায় বাড়ীর ছাঁদে সবজি ও ফল চাষে সফলতা কলেজ শিক্ষার্থী মুশফিকা ইমরোজ কাইফার। লটারির ভাগ্যে সিএমপির ১৫ থানার ওসির রদবদল আরব আমিরাতে ১২ বছরের বিচ্ছেদের পরে মা ছেলেকে একত্রিত করলো শারজাহ্ পুলিশ বাঘাইছড়িতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা ও শিক্ষক কাউন্সিল উপলক্ষে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মায়ানমার পাচারের পথে ৩৭৫ বস্তা সিমেন্টসহ ৮ পাচারকারী আটক সিএমপি’র দুর্ধর্ষ চুরি মামলায় টনক নড়তেই পুলিশ মাত্র ১২ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৩, উদ্ধার স্বর্ণালংকার! বাকখালী নদীতে কোস্টগার্ডের হানা ,মিয়ানমার পাচারের পথে ৭ লাখ টাকার পণ্যসহ ৬ পাচারকারী আটক! বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত পেশাজীবী সম্মেলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ইউনাইটেড ইয়ুথ ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন

মাঠে ধান, মনে ত্রাণ—বাম্পার ফলনেও চিন্তায় নাইক্ষ্যংছড়ির কৃষক: সর্বনাশের শঙ্কা

  • সময় সোমবার, ৫ মে, ২০২৫
  • ২৬৪ পঠিত

আনোয়ার হোছাইন,(নাইক্ষ্যংছড়ি) প্রতিনিধিঃ

বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু ধান কাটার ঠিক সময়টাতে বৈরী আবহাওয়া, হঠাৎ বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে ধান ঘরে তোলার প্রক্রিয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষকরা। অনেক জায়গায় কাটা ধান শুকাতে না পেরে মাঠেই পড়ে থাকছে। এতে ধানের মান ও পরিমাণ—দু’টোই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সোমবার (৫ মে) সরেজমিনে উপজেলার বাইশারী, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, দৌছড়ি, ঘুমধুমসহ কয়েকটি ইউনিয়নের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা ও আধাপাকা ধান গাছ ঝড়ের কারণে ঢলে পড়েছে। ধান কেটে রাখলেও রোদ না থাকায় শুকানো যাচ্ছে না, আবার বৃষ্টিতে ভিজে তা পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।

বাইশারী’র করলিয়ামুরা এলাকার কৃষক মো. ছৈয়দ আলম কারবারি বলেন, “এবার জমিতে ধান অনেক হইছে, এমন ফলন বহু বছর পর দেখছি। কিন্তু ধান কাটা শুরু করতেই ঝড়-বৃষ্টি। শুকাইতে পারতেছি না, ঘরেও তুলতে পারতেছি না। সারাদিন ধান পাহারা দিয়া রাতেও টেনশনে ঘুমাইতে পারি না।”

দৌছড়ির এক কৃষক বলেন, “বৃষ্টির সময়টা শেষ মনে কইরা কাটা শুরু করছি। কিন্তু আচানক বৃষ্টি শুরু হইয়া গ্যাছে। যেই ধান শুকাইতে পারি নাই, সেগুলা মাঠেই পঁচতেছে।”

ঘুমধুম এলাকার আরেক কৃষক বলেন, “আমাগো পরিশ্রমের ফসল মাঠেই যদি নষ্ট হয়, তাহলেতো সর্বনাশ হয়ে যাবে। সরকার যদি সহায়তা করে, তাইলে আমরা কিছুটা বাঁচতে পারি।”

এবিষয়ে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.ইনামুল হক বলেন, “চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তবে শেষ সময়ে আবহাওয়ার যে আচরণ দেখা দিচ্ছে, তাতে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমরা কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার ও নিরাপদে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছি। প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে।”

এদিকে, নাইক্ষ্যংছড়িতে ধানের ফলন এবছর আশা জাগালেও আবহাওয়ার প্রতিকূলতা কৃষকদের সামনে এক নতুন সংকট তৈরি করেছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এই বাম্পার ফলনও শেষ পর্যন্ত কৃষকের লাভে পরিণত না হয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে—এমন আশঙ্কা স্থানীয়দের।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট