জানা গিয়েছে গুলশান ২ এর রোড নাম্বার# ১২০, বাড়ি নাম্বার# ১৯, ফ্ল্যাট বি-৩ তে দুই মাস পূর্বে এক লক্ষ টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন আহমেদ সোবহান আনভীর।
আরও জানা যায় আহমেদ সোবহান আনভীর উক্ত বাসার ভাড়া দিতেন এবং মাঝে মাঝে উক্ত বাসায় আসা যাওয়া করতেন। বাসাটিতে মুনিয়া একাই থাকতো।
গুলশান থানার উপপুলিশ কমিশনার জানান, “মেয়েটির সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সম্পর্ক দুই বছরের। আনভীর এক বছর মেয়েটিকে বনানীর ফ্লাটে রাখেন। পরে আনভীরের সঙ্গে মনোমালিন্য হলে তিনি কুমিল্লায় চলে যান। তবে মার্চ মাসে ঢাকায় এসে গুলশানের ওই ফ্লাটে থাকা শুরু করেন।
২৩ এপ্রিল একটি ইফতার পার্টি হয় ওই বাসায়। ওই পার্টির ছবি ফেসবুকে আপলোড করা হলে মেয়েটির সঙ্গে আনভীরের মনোমালিন্য হয়। পরে মেয়েটি তার বোনকে ফোন করে জানান, যে কোনো মুহূর্তে তার যে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে।’
এই ফোনের পর কুমিল্লায় থেকে সোমবার বিকেলে ঢাকায় আসেন ওই তরুণীর বোন। তবে গুলশানের ফ্লাটটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান তিনি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শোবার ঘরে তরুণী ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
উপকমিশনার সুদীপ বলেন, ‘সাক্ষ্য প্রমাণ হাতে আসলে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গুলশান থানা পুলিশ জানায় রাত সাড়ে আটটায় তারা ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং লাশ এর সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। থানা কর্তৃক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরার মালিক শাহ আলমের ছেলে ও বসুন্ধরা গ্ৰুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ সায়েম সোবহান আনভীরের প্ররোচনায় এ হত্যাকান্ড হয়েছে বলে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেন।
Leave a Reply