পর্যটনে অমিত সম্ভাবনার চট্টগ্রাম ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম এখনো আটকে আছে নানা সমস্যা ও সীমাবদ্ধতার জটিল জালে।
পর্যটন নিয়ে কথা হয়,পরিকল্পনা হয় কিন্ত কাজ হয় কম।ফলে পাহাগ নদী ও সমূদ্র পরবেষ্টিত অপরুপ সুন্দর চট্টগ্রাম অমনোযোগীতা ও অবহেলায় বিবর্ণ থেকেই যায়।
এ অবস্হা থেকে উত্তরণে চট্টামের বিশিষ্টজনদের মতামত, সুপারিশ শোনার জন্য বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড ( বিটিবি) নগরীর পর্যটন মোটেল সৈকতে আজ ৩ মে “স্ট্রেনদেনিং দ্য সাপোর্ট সার্ভিস টু ট্যুরিজম” শীর্ষক এক প্রোগ্রামের আয়োজন করে।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্হা ও সংগঠনের অংশীজনদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত এ প্রোগ্রামে রিসোর্স পার্সন হিসেবে ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক, দৈনিক চাটগাঁর চোখ সম্পাদক এ কে এম জহুরুল ইসলাম ও আলোকচিত্র শিল্পী সামিউল ওয়ারেস।
প্রোগ্রাম পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রগ্রেস প্রকল্পের পরামর্শক জাবেদ আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষনা) মোহাম্মদ মজহারুল ইসলাম।
রিসোর্স পার্সনের বক্তব্যে সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম বলেন আমদের অনেক বিনিয়োগ অপচয় হয় অপরিকল্পিত মেগা প্রকল্পে,অথচ আমরা অমিত সম্ভাবনার পর্যটন নিয়ে উদাসীন। যেটুকু পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত হয় সেগুলোও আটকে থাকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতায়।
চট্টগ্রাম ও বৃহত্তর চট্টগ্রামের চারপাশই অকল্পনীয় সৌন্দর্যে ভরপুর।আমরা যদি প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর এলাকাগুলোকে পরিকল্পিতভাবে পর্যটনস্পট হিসিবে গড়ে তুলতে পারতাম,সেবা সুবিধা সম্প্রসারণ করতে পারতাম তাহলে এখাত থেকে আমাদের জাতীয় আয়ে আসত বড় অবদান।পৃথিবীর বহু দেশ তা-ই করছে।
চট্টগ্রাম, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সুন্দর জায়গাগুলোতে আমরা সহজ যোগাযোগ,নিরাপত্তা,থাকা খাওয়া এবং পর্যটকদের চাহিদার বিষয়গুলোর সুব্যবস্হা করতে পারতাম,এবং দেশি বিদেশী পর্যটকদের স্হানীয় নানা হয়রানি ও উৎপাত থেকে মুক্ত করতে পারতাম তাহলে পর্যটন খাতকে নিয়ে যেতে পারতাম ইনকামের ভালো জায়গায়।
বিকাশ ঘটতো পর্যটন শিল্পের।চট্টগ্রাম কক্সবাজার তিন পার্বত্য জেলা আমদের জন্য হতে পারতো দুশ্চিন্তার বদলে, আয়ের ভালো উৎস।নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এ খাতে আর কথা নয়, কাজ হতে হবে আরো অনেক বেশি।তিন আশা করেন চট্টগ্রামের এ প্রোগ্রামের বার্তা কিছুটা হলেও পর্যটন খাতে নতুন পথরেখা সৃষ্টি করবে।
তিনঘন্টাব্যাপী এ আয়োজনে ছিল দুটি উপস্হাপনা,এবং পর্যটন বিষয়ক নানা অভিমত ও সুপারিশ।
পরিচালক (বিপণন, পরিকল্পনা ও গণসংযোগ), যুগ্ম সচিব সালেহা বিনতে সিরাজ পর্যটন বোর্ডের নানা সীমাদ্ধতার কথা উল্লেখ করে বলেন বাংলাদেশও যে বেড়ানোর সুন্দর জায়গা এটা যেমন আমরা বিদেশীদের কাছে পৌছাতে পারিনি তেমনি এ খাতে প্রয়োজনীয় সুবিধা, সেবাও গড়ে তুলতে পারিনি। যেটুকু আছে তাও অসচেতনতা ও উৎপাতের কারণে বিপন্নদশা। তিনি পর্যটনে সেবা জোরদারকরণে চট্টগ্রামের মতামত ও সুপারিশগুলোকে বিবেচনায় রাখার আশ্বাস দেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল, যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক আবছার উদ্দিন অলি, সাংবাদিক লায়ন আবু ছালেহ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক রোজী চৌধুরী। পরিবেশবিদ সাংবাদিক আলিউর রহমান। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের শতাধিক কর্মী উক্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
Leave a Reply