মোঃ কায়সার. চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনা টি ঘটে মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ৭.৩০ ঘটিকায় উপজেলার জলসুখা গ্রামে ।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জহুর হোসেন ও জলসুখা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সলিমউল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ গ্রাম্য বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরধরে মাসখানেক পুর্বেও তাদের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যদিও বিষয়টি স্থানীয় বিচার শালিশের মাধ্যমে শেষ হয়। উভয় পক্ষে এরই আক্রোশ থেকে যায়, এবং নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের জলসুখা ইউনিয়নের সহ সভাপতি জহুর হোসেনের গোষ্ঠী (তিন গোষ্ঠী) ও সাবেক আওয়ামী লীগ বর্তমানে জামায়ত নেতা ডা. রেজাউল করিম ও আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন মেম্বার একত্রিত হয়ে, সর্বশেষ সোমবার (১২ মে) জলসুখা ইউনিয়নের ৬নং ওযার্ডের নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনু মেম্বার সহ রেজাউলের দল বল নিয়ে রাত ৭ ঘটিকার সময় খেলু মিয়ার গোষ্ঠীর কিছু লোকজন কে ধাওয়া দেয় এবং নিরিহ শহিদ মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া সহ এক নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। এ ওই জের ধরে ১৩ই মে রোজ মঙ্গলবার সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী পুরুষসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে সাইকুল বেগম (৫০),জিয়াউর রহমান(৩৫), তকদির মিয়া(৪২), ইমন(২২),নাইম মিয়া(২৪),শামিম মিয়া(১৯),মছদ উল্লা(৬০),জয় (২০),মুসকুদ উল্লা (৫০),আলী নুর (১৪),ফয়সল(১৪) ও বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি সলিমুল্লাহ কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর অবস্থায় উভয় পক্ষের ৬ জনকে সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসায় নেওয়া হয়। সংঘর্ষ চলাকালে জলসুখা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জহুর হোসেনের নেতৃত্বে, জলসুখা ইউনিয়ন বি এন পির সাবেক সভাপতি মোঃ সলিমুল্লার বাড়ি সহ বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সংঘর্ষ শেষে আনন্দ উল্লাস করেন আওয়ামী লীগের নেতারা খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
তবে স্থানীয়রা জানান আবার যে কোন মূহুর্তে হতে পারে সংঘর্ষ।
Leave a Reply