1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চট্টগ্রামে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ সীতাকুণ্ডে দুই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১, নিহত ১ সাজেকে ইঁদুর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬৬ জুমচাষী পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ সীতাকুণ্ডে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন সীতাকুণ্ডে গ্রাম পুলিশ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন আবুরখীল নন্দন কানন বিদর্শন বিহারে কঠিন চীবর দান প্রথম পর্বে ট্রাষ্টির নেতৃবৃন্দ বান্দরবানে ১৩অক্টোবর সোমবারের হরতা‌ল প্রত্যাহার করছে নাগরিক পরিষদ আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’ মাইজভান্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি দক্ষিণ ধর্ম পুর শাখার মাহফিলে বক্তারাঃ আউলিয়াদের সংস্পর্শে মানুষের মধ্যে মানবিক গুণাবলি অর্জিত হয় পুলিশের প্রভুত্ব নয়, জনগণের সেবা চাই”— দৃঢ় অবস্থানে সাগুফতা বুশরা মিশমা

আজ ১০ মহররম পবিত্র আশুরা কারবালার ঘটনা ও এর তাৎপর্য

  • সময় রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫
  • ৩০২ পঠিত

সুমন চৌধুরী
বান্দরবান সদর

আজ ১০ মহররম মুসলিম ইতিহাসের একটি বিয়োগাত্মক ঘটনার দিন। ১০ মহররম কারবালায় যা ঘটেছিল সেটি মুসলিম ইতিহাসে এক শোকাবহ কাহিনী হিসেবে লেখা রয়েছে। তবে শুধু বিয়োগান্ত কাহিনীই নয় ১০ মহররম মুসলিম ইতিহাসে বহু তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন।
১৪৪৭ হিজরী বর্ষের প্রথম মাস হলো মহররম মাস। এই মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। এই মাসের ১০ম দিবসে বহু ঐতিহাসিক ঘটনা ইতিহাসে প্রসিদ্ধ হয়ে আছে। আশুরার দিনে যে শুধু হযরত হোসাঈন (রাঃ) অথবা অন্যান্য যারা সেইদিন কারবালার ময়দানে শহীদ হয়েছিলেন তাদের স্বরণে পালন করা হয় তা কিন্তু নয় এর কারণ, এই মহররম মাসের ১০ তারিখ অনেক ঘটনাই ঘটেছে। এ মাসে রয়েছে আশুরা। আশুরা আশিরুন-এর বহুবচন। এর অর্থ হলো দশম তারিখের সমন্বয় অর্থাৎ মহররম মাসের ১০ তারিখে সংঘটিত ঘটনাবলী। পৃথিবীর আদি-অন্তের এক ঘটনা এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। বিশ্বের সব মুসলমানরা গভীরভাবে স্মরণ করে। কারবালার ওই শোকাবহ ঘটনা তাড়িত করে প্রতিটি মুসলমানকে।

মহররমের ১০ম দিবসে সংঘটিত বহু ঘটনা হতে কয়েকটি হল-

১. আশুরার দিনে হযরত আদম (আ:) কে সৃষ্টি করা হয়। আবার এই দিনে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন। এই তারিখেই জান্নাত হতে পৃথিবীতে প্রেরিত হন ও বহু বছর পর এই তারিখেই আরাফাতের ময়দানে জাবালে রহমতে তিনি এবং বিবি হাওয়া (আ:)-এর পুনরায় সাক্ষাৎ লাভ হয় ও তাঁদেরকে মার্জনা করা হয়।

২. এই ১০ মহররম দিবসে হযরত ইদ্রিস (আ.) কে আকাশে উত্তোলন করা হয়।

৩. এই মহররমের ১০ তারিখে হযরত নূহ (আ:) কে তুফান এবং প্লাবনের পানি হতে পরিত্রাণ দেওয়া হয়।

৪. এই ১০ মহররমের তারিখে হযরত আইয়ুব (আ:) কে ১৮ বছর রোগ ভোগের পর রোগ মুক্তি দেওয়া হয়।

৫. এই ১০ মহররমের তারিখে হযরত ইব্রাহিম খালীলুল্লাহ (আ:) কে অগ্নিকুণ্ড হতে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়।

৬. এই ১০ মহররম দিবসে হযরত দাউদ (আ:) কে বিশেষ ক্ষমা করা হয় ও হযরত সুলাইমান (আ:) কে স্বীয় হারানো বাদশাহী পুনরায় ফেরত দেওয়া হয়।

৭. এই ১০ মহররম দিবসে হযরত ইউনুছ (আ:) কে ৪০ দিন পর মাছের উদরে থাকার পর নিষ্কৃতি দেওয়া হয়।

৮. আশুরার এই দিনে হযরত ইয়াকূব (আ:) স্বীয় হারানো পুত্র হযরত ইউসুফ (আ:) এর সাক্ষাৎ লাভ করেন।

৯. এই ১০ মহররম দিবসে হযরত মূসা (আ:) ফিরাউনের কবল হতে নিষ্কৃতি লাভ করেন।

১০. আশুরার এই তারিখে হযরত ঈসা (আ:) কে আকাশে উত্তোলন করা হয়।

১১. আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ (স:) মক্কা শরীফ হতে হিজরত করে মদীনা শরীফে আশুরার এই তারিখে তাশরীফ নেন।

১২. এই ১০ মহররম দিবসে নবী করীম (স:)-এর কলিজার টুকরা ফাতেমা (রা:)-এর নয়নমণি হযরত ইমাম হুসাইন (রা:) ও তাঁর ৭৭ জন পরিজন এবং ঘনিষ্ঠজন জালিম ইয়াজিদের সৈন্য কর্তৃক কারবালা প্রান্তরে, ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন।

এই মাসের পবিত্রতা ও আশুরার বিশেষত্ব সম্পর্কে আল-কুরআনুল-কারীম এবং হাদীস শরীফের কয়েকটি উদ্ধৃতি :

ইসলামের হারাম ৪টি মাসের একটি হল মহররম। বর্ষ গণনার রীতি এবং মাস সম্পর্কে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন যে, ‘নিশ্চয়ই আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করার দিনে মাসসমূহের গণনা আল্লাহর নিকট বারো মাস, তন্মধ্যে ৪টি হারাম মাস। তোমরা নিজেদের মধ্যে এসবের যুল্ম করো না। আর তোমরা মুশরিকদের সাথে ব্যাপকভাবে যুদ্ধ করো যেমনিভাবে তারা তোমাদের সাথে ব্যাপকভাবে যুদ্ধ করে, আর জেনে রাখো আল্লাহ মুত্তাকীদের সঙ্গেই রয়েছেন’ (সূরা আত-তাওবা, আয়াত ৩৬)।

মহাররম মাসে যুদ্ধ হারাম। তবে যদি প্রতিপক্ষ কাফির-মুশরিক চড়াও হয় ও আক্রমণ করে তাহলে যুদ্ধ করে তাদেরকে ঘায়েল করা বৈধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুকাতিল ইব্ন হায়্যান ও ইব্ন জুরাইজ (রা:) হতে বর্ণিত রয়েছে, ‘সাহাবীগণের একদল মহররম মাসে মুশরিকদের একদল লোকের সাক্ষাৎ লাভ করেন। তখন মুসলিম পক্ষ প্রতিপক্ষকে নিবৃত্ত রাখতে চাইলেন, যাতে তারা হারাম মাসে যুদ্ধ না করে। তারপর মুশরিক পক্ষ অস্বীকৃতি জানিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হতে প্রতিজ্ঞ হলো ও অকস্মাৎ তাদের ওপর চড়াও হলো। তখন মুসলিমগণ তদের প্রতিহত করলেন ও যুদ্ধে লিপ্ত হলেন। এরপর মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁদেরকে বিজয় দান করেন (ইবন কাছীর, তাফসীরে ইবন কাছীর, ৫ম খন্ড, ৪৪৯)।

এমনিভাবে ১০ মহররমে ফজিলত এ মাসের তাৎপর্য রয়েছে অফুরন্তভাবে। এই দিবসে তাই মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভের জন্য বান্দারা ইবাদত বন্দেগি করে থাকেন। ১০ মহররম বা আশুরার এই দিনটি বিশ্বের সব মুসলিম সম্প্রদায় অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে পালন করে থাকে। কারণ কারবালার ওই শোকাবহ ঘটনা এবং পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী আমাদেরকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করে থাকে

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট