মোঃ বজলুর রহমান, কক্সবাজার ( ঈদগাঁও)
১২ মার্চ কক্সবাজার জেলা, ঈদগাঁও উপজেলা, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের চরপাড়ার হাফেজ আহমদের পুত্র মাস্টার দেলোয়ারের স্ত্রী ও হাবিবুল্লার স্ত্রীর নেতৃত্বে “নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ কর, কণ্ঠে এবার লাগাও জোড়, উগ্রবাদীর কবর খোড়” শীর্ষক ব্যানারে যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সাজানো নাটক বলে দাবি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলেন, দেলোয়ারের স্ত্রীর নেতৃত্বে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটকে আড়াল করতে শাহেনার স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিরোধীয় জায়গার অপরাপর আংশীদাদের বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। উক্ত সাজানো নাটকের তীব্র নিন্দা করে বলেন, তারাও একই খতিয়ারের অংশীদার এবং খরিদা মালিক আহসান উল্লাহর জমিতে জোরপূর্বক মাস্টার দেলোয়ারের বড় ভাই মাসুদ ইকবাল প্রকাশ বাহার উদ্দিন মাটি কেটে গৃহ নির্মাণ কাজ শুরু করে। এতে অপরাপর মালিকরা ভাগ বাটোয়ারা না করা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলে। কিন্তু মাসুদ ইকবাল উক্ত চাষযোগ্য জমির মাটি কেটে খানা/খন্দক করে চাষ অনুপযোগী করে তোলে। এ ঘটনার পর উল্টো শাহেনা আকতার স্বামী হাবিব উল্লাহকে বাদী করে কক্সবাজার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আহসান উল্লাহ গং মাটি কেটেছে মর্মে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৮১/২৫। এ মামলাকে পুঁজি করে রাতে শাহেনা আকতার, আফিয়া আকতার, সাবরিনা ইউনুছ শিলা ও মুহছেনা আকতারসহ বেশ কয়েকজন মহিলা তাদের পুরুষদের গালিগালাজ করে এবং গা ঘেঁষে সংঘাত তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বাহার উদ্দিনের নির্মিতব্য অবৈধ স্থাপনার নির্মাণ কাজ বন্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং এম, আর-২৮২/২০২৫। মামলাটিতে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। এদিকে আহসান উল্লাহ গং আরো অভিযোগ করেন, মাসুদ ইকবাল প্রকাশ বাহার উদ্দিন “পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক” পূর্বের নাম ‘একটি বাড়ি, একটি খামারের তৃতীয় শ্রেণীর একজন কর্মচারী হয়েও রাতারাতি কিভাবে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হল তা নিয়ে জনমনে প্রশ্নের অন্ত নেই। তাদের অভিযোগ, এলাকার সুপরিচিত একটি কুচক্রী, টাউট ও বাটপার গ্রুপ তাদের ইন্ধন যোগাচ্ছে।
এমতাবস্থায় সৃষ্ট সমস্যার সমাধান কল্পে ক্ষতিগ্রস্তরা ভূমিদস্যু দ্বারা কথিত নারীদের অপব্যবহার বন্ধ করতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামাবাদ ইউনিয়নের চরপাড়া উত্তর লরাবাকের আহসান উল্লাহ, জাহেদুল ইসলাম, নুরুল আনোয়ার, নুরুল আবছার, সাহাব উদ্দিন, শামীম, আরফাত ও সাবেদুল করিম।
Leave a Reply