1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
একজন আদর্শ শিক্ষকনেতা: অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জসীম উদ্দীনের জীবন ও কর্ম চট্টগ্রাম উৎসবে সম্মাননায় ভূষিত হলেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন জলবায়ু পরিবর্তনরোদে বৃক্ষ রোপণ করেছে এন.ওয়াই.এম ইয়ুথ ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের আলোচিত সাজ্জাদ হত্যা মামলার ৮ আসামি গ্রেফতার শোক সংবাদ পটিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব সমর্থক গোষ্ঠীর কার্যকরী কমিটি অনুমোদন বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহবায়ক কমিটি অনুমোদন এপেক্স ক্লাব অব বান্দরবানের সেবা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত। যুবদলের ৪৭তমপ্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শহীদ জিয়ার মাজারে উরকিরচর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শ্রদ্ধা

একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির প্রথম সিড়ি

  • সময় বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১২৭ পঠিত

তোষাদ রায়হানঃ

ভাষা আন্দোলনকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির পথে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হয়।এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরির পেছনে রয়েছে আরও অনেক সংগ্রামের ইতিহাস।১৯৪৭ এর দেশভাগের পর “প্রথম লড়াইটা প্রধানত ছিল সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনেই সীমাবদ্ধ”।সেসময় বাঙালী মুসলমান সাহিত্যিক, শিক্ষক, রাজনীতিবিদদের মধ্যে বাংলা, উর্দু, ভাষার পক্ষ-বিপক্ষে নানান মত ছিল।১৯৪৭ সালে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর জিয়াউদ্দিন আহমেদ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন।এবং এর কয়েক মাসের মধ্যেই ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের প্রথম মুদ্রা, ডাকটিকেট, ট্রেনের টিকেট, পোস্টকার্ড ইত্যাদি থেকে বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দু ও ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়।এতে ভাষা নিয়ে বিতর্ক আবারো জেগে উঠেছিলো।তৎকালীন পাকিস্তান রাষ্ট্রে বাংলাভাষীরা উর্দুভাষীদের চেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকার পরও ১৯৪৮ সালের ২১শে মার্চ পূর্ব পাকিস্তান সফরে এসে রেসকোর্স ময়দানে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এক সমাবেশে স্পষ্ট ঘোষণা করেছিলেন যে ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা’।
সেই সমাবেশেই উপস্থিত অনেকেই সাথে সাথে প্রতিবাদ করে ওঠেন। এরপর থেকে চারিদিকে স্লোগান ওঠে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’

উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পেছনে বাঙালীদের উপর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রভুত্ব কায়েম করা ও শোষণের অভিসন্ধি বলে মনে করা হয়েছিল। বাঙালীদের মনে পাকিস্তানের প্রতি অবিশ্বাসের ভীত তৈরি হয়েছিল।এ আন্দোলন সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ নেয় যখন ১৯৫২সালের ২৬শে জানুয়ারি পাকিস্তানের অ্যাসেম্বলিতে উর্দুকেই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। পূর্ব-বঙ্গের অধিবাসী হওয়া সত্ত্বে খাজা নাজিমুদ্দিন এর বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে সে সময় আন্দোলন আরো জোরদার হয়ে উঠেছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল করে খাজা নাজিমুদ্দিনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছিলো। ছাত্রদের সাথে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, সংস্কৃতিকর্মী এবং পেশাজীবী মানুষজন আন্দোলনে অংশ নেন। ২১শে ফেব্রুয়ারি সাধারণ ধর্মঘট ঘোষণা করা হয়। ধর্মঘট ঠেকাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিলো। আন্দোলনকারীরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল শুরু করলে পুলিশ আন্দোলনকারি দের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করেন। পুলিশের গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার এবং শফিউর ছাড়াও আরো অনেকে শহীদ হয়। এই হত্যাকাণ্ড মাতৃভাষার অধিকারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে দমাতে পারেনি।
আর এই আন্দোলনেই বীজ বপন হয়েছিল পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট