1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জেলা-৩ কনভেনশনে ‘সেরা এপেক্সিয়ান’ নির্বাচিত এপেক্সিয়ান মুহাম্মদ আরিফ খান পালাকাটা ক্যাডেট দাখিল মাদ্রাসার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন আরবি ভাষাকে সম্মান জানানো নিজেকে সম্মানিত করার অংশ -ধর্ম উপদেষ্টা সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদ্যাপন পটিয়া স্টেশন রোড ব্যাবসায়ী সমিতির এক বছর পর্দাপনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসে এপেক্স ক্লাব অব পটিয়ার কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত এশিয়ান আবাসিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে মহান বিজয় দিবস উদযাপন রাউজান প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে আলোকিত ফোরামের অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক বিজয় দিবস পালন

একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির প্রথম সিড়ি

  • সময় বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৫৩ পঠিত

তোষাদ রায়হানঃ

ভাষা আন্দোলনকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির পথে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হয়।এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরির পেছনে রয়েছে আরও অনেক সংগ্রামের ইতিহাস।১৯৪৭ এর দেশভাগের পর “প্রথম লড়াইটা প্রধানত ছিল সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনেই সীমাবদ্ধ”।সেসময় বাঙালী মুসলমান সাহিত্যিক, শিক্ষক, রাজনীতিবিদদের মধ্যে বাংলা, উর্দু, ভাষার পক্ষ-বিপক্ষে নানান মত ছিল।১৯৪৭ সালে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর জিয়াউদ্দিন আহমেদ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন।এবং এর কয়েক মাসের মধ্যেই ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের প্রথম মুদ্রা, ডাকটিকেট, ট্রেনের টিকেট, পোস্টকার্ড ইত্যাদি থেকে বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দু ও ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়।এতে ভাষা নিয়ে বিতর্ক আবারো জেগে উঠেছিলো।তৎকালীন পাকিস্তান রাষ্ট্রে বাংলাভাষীরা উর্দুভাষীদের চেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকার পরও ১৯৪৮ সালের ২১শে মার্চ পূর্ব পাকিস্তান সফরে এসে রেসকোর্স ময়দানে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এক সমাবেশে স্পষ্ট ঘোষণা করেছিলেন যে ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা’।
সেই সমাবেশেই উপস্থিত অনেকেই সাথে সাথে প্রতিবাদ করে ওঠেন। এরপর থেকে চারিদিকে স্লোগান ওঠে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’

উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পেছনে বাঙালীদের উপর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রভুত্ব কায়েম করা ও শোষণের অভিসন্ধি বলে মনে করা হয়েছিল। বাঙালীদের মনে পাকিস্তানের প্রতি অবিশ্বাসের ভীত তৈরি হয়েছিল।এ আন্দোলন সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ নেয় যখন ১৯৫২সালের ২৬শে জানুয়ারি পাকিস্তানের অ্যাসেম্বলিতে উর্দুকেই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। পূর্ব-বঙ্গের অধিবাসী হওয়া সত্ত্বে খাজা নাজিমুদ্দিন এর বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে সে সময় আন্দোলন আরো জোরদার হয়ে উঠেছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল করে খাজা নাজিমুদ্দিনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছিলো। ছাত্রদের সাথে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, সংস্কৃতিকর্মী এবং পেশাজীবী মানুষজন আন্দোলনে অংশ নেন। ২১শে ফেব্রুয়ারি সাধারণ ধর্মঘট ঘোষণা করা হয়। ধর্মঘট ঠেকাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিলো। আন্দোলনকারীরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল শুরু করলে পুলিশ আন্দোলনকারি দের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করেন। পুলিশের গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার এবং শফিউর ছাড়াও আরো অনেকে শহীদ হয়। এই হত্যাকাণ্ড মাতৃভাষার অধিকারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে দমাতে পারেনি।
আর এই আন্দোলনেই বীজ বপন হয়েছিল পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট