
এপেক্স বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দসহ পরিবেশ সচেতন নাগরিকদের অংশগ্রহণ
বাংলাদেশ রেলওয়ে, কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বজ্রপাত প্রতিরোধে দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইনের দুই পাশে তালচারা রোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে চট্টগ্রাম -দোহাজারী -কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদ।
এই কর্মসূচির আওতায় কক্সবাজার থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইনের দুই পাশে প্রায় ৫,৫০০ তালচারা রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত ১ নভেম্বর (শনিবার) বাংলাদেশ রেলওয়ে, কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন সংলগ্ন জায়গায় এই কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম- দোহাজারী- কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো.আইয়ুব আলী, এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু সাঈদ তালুকদার খোকন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবিদা সুলতানা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সহ-সভাপতি এপেক্সিয়ান নাসিম আহমেদ।
গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনের স্টেশন মাস্টার (ইনচার্জ) মো. গোলাম রাব্বানী, জান আলী হাট স্টেশন মাস্টার (ইনচার্জ ) মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন,চট্টগ্রাম – দোহাজারী- কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যান পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ও এপেক্স বাংলাদেশের ডিস্ট্রিক্ট–৩ গভর্নর এপেক্সিয়ান সৈয়দ মিয়া হাসান, স্টেশন মাস্টার মো.মেহেদী হাসান ও জয়নাল আবেদীন,
অফিসার ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর, আরএনবি) মোহাম্মদ আমিনুল হক রাব্বানী, ইঞ্জিনিয়ার সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, এপেক্স বাংলাদেশের পিএনএসডি প্রিন্সিপাল এস. কে. দত্ত অনুপ, পিডিজি–০৩ এপেক্সিয়ান কামাল পাশা, এবং চট্টগ্রাম – দোহাজারী-ককসবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সিনিয়র সদস্য ও ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি এপেক্সিয়ান মোঃ লিয়াকত আলী।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম – দোহাজারী- কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও এপেক্স ক্লাব অব পটিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলমগীর আলম, এপেক্স ক্লাব অব পটিয়ার ২০২৬ বর্ষের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এপেক্সিয়ান মো. জসিম উদ্দিন, ডা. নুর খান, এপেক্সিয়ান আবদুল্লাহ ফারুক রবি, এপেক্সিয়ান কায়সারুল আলম, এপেক্সিয়ান শফিকুল আলম বশর, এপেক্সিয়ান এস. এম. আবু হেনা, এপেক্সিয়ান নাঈম উদ্দিন, এপেক্সিয়ান হাবিবুর রহমান, এপেক্সিয়ান আলী কদর জীবন, হারুনুর রশিদ, সিরাজ মিয়া ও নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
অতিথিরা বক্তব্যে বলেন,
> “তাল চারা রোপণের মাধ্যমে বজ্রপাত প্রতিরোধ, ভূমির ক্ষয়রোধ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা সম্ভব।
এছাড়াও, তালগাছ থেকে প্রাপ্ত ফল, রস ও কাঠ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং তালগাছের বাকল পুরু কার্বন স্তর ইলেকট্রন শোষণ শোষণ করে সহায়ক ভূমিকা ভূমিকা পালন করে।
তাই রেললাইনের দুই পাশে তালচারা রোপণ করলে দেশের মানুষ যেমন বাঁচবে, তেমনি বাঁচবে সম্পদ ও পরিবেশ।”
পরিবেশ সচেতনতার আহ্বান
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই উদ্যোগ শুধুমাত্র বৃক্ষরোপণ নয়, এটি একটি পরিবেশ সচেতনতার আন্দোলন, যা দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে।
Leave a Reply