মোঃ কায়সার, চট্টগ্রামঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাস্তবায়ন মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১১ টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামমে সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিসারিজ প্রজেক্ট প্রথম সংশোধিত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়ার্কশপে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, মৎস্য ব্যবসায়ী, মৎস্য ঘের মালিকগণ উপস্থিত ছিলেন। কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডলের সভাপতিত্বে ওয়ার্কশপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তৌকির আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ার্কশপে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিএম সেলিম তিনি বলেন ভালো পোনা চেনার উপায়, ও মৎস্য ঘের ও পুকুর প্রাথমিক প্রস্তুতি, নেট দিয়ে ঘেরের চারিপাশ নেট দিয়ে আটকাতে হবে, মৎস্য ঘেরে জৈব নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে। মাছের উৎপাদন বেশি করতে মাছের খাদ্য ও সার প্রয়োগ, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অধিক উৎপাদন বৃদ্ধি করতে। মৎস্য ঘেরে রোগ জীবাণুমুক্ত পোনা ব্যবহার করতে হবে। মৎস্য ঘেরের পরিবেশ ভালো রাখতে হবে। এ বিষয়ে মৎস্য চাষীদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। মৎস্য ঘের ছয় থেকে আট ফিট গভীর করতে হবে মাছের খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ভালো খাবার দিতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় সহকারী উপ-পরিচালক মনিরুল মামুন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জি এম সেলিম, উপজেলা মৎস্য অফিসের সার্ভিস প্রোভাইডার মনিরুজ্জামান। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী শুভ্র চন্দ্র। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিএম সেলিম বলেন সাতক্ষীরার এরলারচর ও কালীগঞ্জের গলদা পোনা পি এল খুব শীঘ্রই বাজারে আসবে পার্শ্ববর্তী দেশের গলদা পোনাতে জীবন ছড়ায় আমাদের পুশ বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে তিনি আরো বলেন ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার আটটি মৎস্য ফ্যাক্টরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডল বলেন মৎস্য চাষীদের লিজ নেওয়া জমির সঠিক কাগজপত্র থাকতে হবে। মৎস্যঘের করতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন সরকারি রাস্তা বা পাবলিকের জায়গা ধারে ঘের করা যাবে না ঘের করতে হলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনা এবং নিজের সীমানায় নোনা পানি আটকে রাখতে হবে। ভেড়িবাধ ছিদ্র করে নোনা পানি উঠানো যাবে না। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করা যাবে না। এ অঞ্চলে মিঠা পানি ও নোনা পানিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদনে একটি প্রসিদ্ধ এলাকা । সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য দপ্তরের বাস্তবায়নে ১৫ এপ্রিল ২০২৫ হতে ১১ জুন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের সকল প্রকার মৎস্য লোকজন কর্তৃক যেকোনো প্রকার আহারণ বন্দে মৎস্যজীবীদের নিয়ে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply