
আমরা অক্টোপাসের কথা শুনেছি, বিশ্বকাপ শুরু হলেই অক্টোপাস আগে থেকেই নাকি বলে দিতেন কোন দল বিজয়ী হবেন।
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সারা পৃথিবী এখন অনন্য উচ্চতায় অবস্থিত বলে মনে করছে মানুষ।
পেইজবুক, টুইটার,ই-মেইল গুগুল,হোয়াইট সপ,টেলিগ্রাম, ইউটিউবসহ নানা তথ্য প্রদানকারী সংস্থার মাধ্যমে মানুষ সহজেই সকল বিষয়ে অবগত ও সুফল ভোগ করেন।
অনেক সময় তথ্য প্রযুক্তির অপ-ব্যবহারের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সত্যকে মিথ্যা, আর মিথ্যাকে, সত্য বলে প্রচারের মাধ্যমে নেট দুনিয়ায় অপ-প্রচার করে ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হয় মানুষ।
বর্তমান এক সহজ প্রযুক্তির নাম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এ আই, Chatgpt, Gemini এসব সপটেয়ারে ক্লিক করলেই মিলছে ইচ্ছে অনুযায়ী সকল তথ্য ও সেবা
এমন কি অভাবনীয় বিষয় হলো মানুষ লেখাপড়ার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে যা শিখেন এবং লিখেন বুদ্ধি কাটিয়ে করেন, তার আর প্রয়োজন নেই বললেই চলে।
এ আই চেট জিপিটিতে আপনি যা লিখবেন সাথে সাথেই তার উত্তর দেয়া হয় নিখোতভাবে, এতে করে মানুষের বুদ্ধি কাটিয়ে এবং জ্ঞানের মাধ্যমে কোন কাজ সমাধান করতে যেমনি সময় লাগছে না তেমনি বুদ্ধির পরিধি দিন দিন কমে যাচ্ছে।
এ সব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহযোগিতায় যদি মানুষের জীবন পরিচালিত হয়।
একদিন মানুষ এ আই চেট-জিপিটি নির্ভর হয়ে জীবন কাটাবে।
উঠতি বয়সের যুবক -যুবতীরা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, আইন পেশায় জড়িতরাসহ অফিসের যে কোন প্রয়োজনীয় কাজে এসব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহযোগিতায় কাজ করে চলেছেন প্রতি নিয়ত।
দিন দিন বেড়ে চলছে সহজ উপায়ে সকল সুবিধা ভোগ করা এআই এর ব্যাবহার।
এ ব্যাপারে খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, মানুষ পারেনা এমন কিছু দুনিয়াতে নেই, কিন্তু আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার এত সহজ হয়েছে যে বুঝায় যায় না কোনটা সঠিক কোনটা ভুল,এ আই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহযোগিতা নিয়ে যে সকল সুযোগ সুবিধা সহজে মিলছে তা সাময়িক, এতে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণই বেশি, নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যতের জন্য এটা হুমকি স্বরুপ,
এতে নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-ছাত্রীরা নানা বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন, তায় জীবন গড়তে নিজস্ব অর্জনে সফলতা ভোগ করা প্রয়োজন।
বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে, তরুনরা ঝুঁকি নিয়েই জীবন গড়ে তুলছেন অনেকেই বিপদগামী হচ্ছেন তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারে, মানুষ যেভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর আশক্তি হয়ে নির্ভরশীল হচ্ছেন এতে করে আগামীতে জীবন ঝুকি আরও বহুগুন বৃদ্ধি পাবে নি:সন্দেহে।
তাই এখনই সময় নিজেকে নিজের অর্জন এবং তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে গড়ে তোলা, তা না হলে জীবন হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় পরিচালিত জীবন যা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
তথ্য প্রযুক্তিবিদ, ইন্জিনিয়ার জেমাম আহমেদ বলেন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence বা AI) মানুষের জীবনে এক বিশাল পরিবর্তন এনেছে।
এর মাধ্যমে আমরা নানান সুবিধা পাচ্ছি, তবে এর কিছু ঝুঁকি বা কুফলও রয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে মেশিন ও রোবট মানুষের কাজ করছে, ফলে বেকারত্ব বাড়তে পারে।
AI সিস্টেমগুলো বিশাল পরিমাণ ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে, যা অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের চরম ক্ষতি হতে পারে।
মানুষ যদি AI-র ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়, তবে সৃজনশীলতা ও চিন্তাশক্তি কমে যেতে পারে।
তায় সকলকে এখনই সচেতন হওয়া দরকার।
বিশিষ্ট ব্যাংকার সৈয়দ মিয়া হাসান বলেন AI-চালিত স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র বা সাইবার আক্রমণ মানুষের জন্য ভয়াবহ হতে পারে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের জীবনে বিপ্লব এনেছে — এটি যেমন সুযোগ সৃষ্টি করছে, তেমনি ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। সঠিক নৈতিকতা, নীতি ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে AI-কে মানব কল্যাণে ব্যবহার করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
লেখক
আলমগীর আলম।
সভাপতি:
এপেক্স ক্লাব অব পটিয়া।
যুগ্ন সদস্য সচিব :
পটিয়া সচেতন নাগরিক ফোরাম।
০১৮১৭-২৭৪৮১২
Leave a Reply