মোঃ আবদুল আলী
চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি
চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করেছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম। কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরীর সঞ্চালনায় নগরীর জামালখানস্থ ফেডারেশন কার্যালয়ে উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ষোলো বছর বাংলাদেশে একদলীয় অগণতান্ত্রিক জালিমশাহী জাতির মাথার ওপর চেপে বসেছিল। এই পুরো সময়টাতেই দেশের মুক্তিকামী জনতা মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। আর সেই সংগ্রাম পূর্ণতা পেয়েছে চব্বিশের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। এই দীর্ঘ সময়ে যারা আন্দোলন করেছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে, জেল-জুলুম ও মামলা হামলার শিকার হয়েছে, আহত হয়েছে এবং শহীদ হয়েছে সকলের অবদান আমরা অকুণ্ঠচিত্তে স্মরণ করছি। বিশেষভাবে স্মরণ করছি চব্বিশের আন্দোলনে শহীদ ও আহত ভাইবোনদের, যাদের জীবন ও রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা মুক্ত ও স্বাধীন। এই শহীদ ও আহতদের ভুলে যাওয়া যাবে না। তাদের ভুলে যাওয়াটা হবে চরম অকৃতজ্ঞতা।
তিনি আরও বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার পাশাপাশি শ্রমিকদের অবদান ছিল অতুলনীয়। সারা দেশে শ্রমিকরা শহীদ হয়েছে। আহত হয়েছে। আন্দোলনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। আন্দোলনের চরম ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে রিকশাওয়ালা, হকার, দিনমজুরদের অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসী দেখেছে। চট্টগ্রাম নগরীতে আন্দোলনের প্রথম তিন শহীদের মধ্যে একজন শ্রমিক। চট্টগ্রামে ছাত্রদের মধ্যে প্রথম শহীদ হয়েছে ফয়সাল আহমদ শান্ত ও ওয়াসিম আকরাম। তাদের সাথে একই সময়ে শহীদ হয়েছে শ্রমিক ফারুক। সারা দেশেই একইরকম চিত্র আমরা দেখতে পাই। শ্রমিকরা দেশের ক্রান্তিলগ্নে রক্ত ও জীবন দিতে পিছু হটেনি। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে শ্রমিকজনতার অবদান ও ত্যাগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, সকল শহীদ পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য সচ্ছতার সাথে কাজ করুন। বিশেষ করে দরিদ্র ও শ্রমিক পরিবারের যারা শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন, তাদের পরিবারকে যথাযথভাবে সহায়তা করুন।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর সহ-সভাপতি মকবুল আহমদ, সহ-সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদ উল্লাহ আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ নুরুন্নবী, দপ্তর সম্পাদক স.ম.শামীম, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইঞ্জি: সাইফুল ইসলাম, আইন আদালত সম্পাদক সাব্বির আহমদ উসমানীসহ থানা/সেক্টর এর সভাপতি , সাধারন সম্পাদক ও ওয়ার্ডের সভাপতিবৃন্দ।
Leave a Reply