রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:
“যে ব্যক্তি জুমার দিন প্রথম প্রহরে মসজিদে আসে, সে যেন একটি উট কুরবানি করল; দ্বিতীয় প্রহরে এলে একটি গাভি, তৃতীয় প্রহরে এলে একটি শিংওয়ালা ভেড়া, চতুর্থ প্রহরে এলে একটি মুরগি, আর পঞ্চম প্রহরে এলে একটি ডিম সদকা করল।”
(সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)
অর্থাৎ, যত আগে জুমার নামাজের জন্য মসজিদে আসবেন, তত বেশি সওয়াব বা পুরস্কার পাওয়া যাবে।
জুমার নামাজ অন্যান্য ফরজ নামাজ থেকে কেন আলাদা ও গুরুত্বপূর্ণ?
সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন:
জুমার দিনকে “সপ্তাহের ঈদ” বলা হয়। এই দিনেই আদম (আ.) সৃষ্টি হয়েছেন এবং কিয়ামত হবে।
আলাদা খুতবা ও জামাত:
অন্য কোনো ফরজ নামাজে খুতবা নেই, কিন্তু জুমায় খুতবা ফরজের অংশ।
বিশেষ দোয়া কবুলের সময়:
জুমার দিনে একটি নির্দিষ্ট মুহূর্ত আছে, যখন বান্দার দোয়া কবুল হয় (বেশিরভাগ আলেম বলেন, এটা আসরের পর থেকে মাগরিবের আগে)।
সুরা জুমা ও হাদিসে বিশেষভাবে গুরুত্ব:
কুরআনে সুরা জুমায় আল্লাহ বলেছেন:
“হে মুমিনগণ! যখন জুমার দিনের নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও।”
— (সুরা জুমা, আয়াত ৯)
জুমা ত্যাগ করলে হুঁশিয়ারি:
যারা তিনবার জুমার নামাজ ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেয়, তাদের সম্পর্কে কঠোর হুঁশিয়ারি এসেছে হাদিসে।
জুমার দিন হলো মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক মহা-সম্মেলন ও আত্মশুদ্ধির সুযোগ। যত আগে আপনি মসজিদে আসবেন, তত বেশি সওয়াবের অধিকারী হবেন। এটি শুধু ফরজ নামাজ নয়, বরং ইসলামের এক মহান অনুষ্ঠান।
Leave a Reply