মোঃ শেখ ফরিদ মিরসরাই ।
রাজনীতিতে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নাই। আমাদের এই পদ সর্বস্ব রাজনীতির দিন শেষ। এখন জেগে উঠার সময়। আমাদের সেই রকম আজকের প্রজন্মের নেতা-কর্মী দরকার যারা স্বপ্রণোদিতভাবে সক্রিয় থেকে নতুন ভোরের আলো ছড়াবে, নব সম্ভাবনা জাগ্রত করবে, নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে। জনবিচ্ছিন্ন এবং নিষ্প্রভ কর্মীবাহিনী আমাদের কাম্য না। আমাদের কাম্য সেই নেতৃত্ব; যারা নদীর মোহনা থেকে সাগর ডেকে এনে জনসমুদ্রে রূপান্তরিত করবে। নেতৃত্বের গুণাবলিসম্পন্ন তৃণমূল নেতৃত্ব আমাদের আজকের প্রত্যাশা।
চট্টগ্রাম -১ মিরসরাই উপজেলা কৃষক দলের সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এ-কথা বলেন। চট্টগ্রামে উত্তর জেলা বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান।
তিনি বলেছেন,আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও তরুণদের জন্য একটি সুন্দর সমাজ উপহার দিতে চাই। মানবিক বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেখছেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সমাজের সব মানুষের প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মানুষের পাশে থেকে সমাজকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে চাই। কিছু স্বৈরাচারী ষড়যন্ত্রকারী দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে—যাদের কথা ও কাজে কোনো মিল নেই। তারা দেশের স্বার্থ নয়, নিজেদের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেয়। তারা কখনোই প্রকৃত বাংলাদেশি বা সৎ নাগরিক হতে পারে না।
ইসলামি মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে নুরুল আমিন বলেন, বিএনপি ইসলামি মূল্যবোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিক্ষা ব্যবস্থায় আল কোরআনকে জাতীয় পাঠ্যক্রমে বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। এই মহৎ উদ্যোগের সুফল এই দেশের প্রতিটি সাধারণ মানুষ ও আলেম সমাজ ভোগ করবেন ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও দেশে গণতন্ত্র, ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য বিএনপির বহু নেতাকর্মী, ছাত্র, জনতা এবং আলেমদের রক্ত দিতে হচ্ছে, জীবন দিতে হচ্ছে।
তারেক রহমানের ৩১ দফা রূপরেখার প্রতি আলেমদের সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে বক্তব্যে তিনি বলেন, তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা রূপরেখায় ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং আলেম সমাজের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ সংযোজন করে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমরা তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ভাইয়েরা স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমরা সেই ত্যাগকে স্মরণ করে সমাজকে নতুনভাবে গড়তে চাই। এই লক্ষ্য অর্জনে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply