1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শঙ্খ নদীতে ভেসে আসল অর্ধগলিত যুবকের লাশ লালন সাধনার এক অনন্য দূত ফরিদা পারভীন। -সোহেল মো. ফখরুদ-দীন স্ত্রীকে ধর্ষণের পর তার সামনেই স্বামীকে হত্যা,ঘাতক আটক অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে: জি এম কাদের। এপেক্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী চট্টগ্রামের নুরুল আমিন চৌধুরী আরমান। হযরত খাজা শাহ শরফুদ্দিন চিশতি (রাহ:) : মাজার ও মসজিদ মুসলিম বিশ্বে ইসলামী ঐতিহ্যের প্রতীক। -সোহেল মোহাম্মদ ফখরুদ-দীন নিউইয়র্কে প্রথমবারের মতো মসজিদে গেলেন মেয়র প্রার্থী ‘কুমো’ ফজলুর রহমানকে গালি দিয়ে স্লোগান দেওয়া সেই ফারজানা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের মুক্তির দাবিতে সীতাকুণ্ডে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত দেশবরেণ্য লালনসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন মারা গেছেন

লালন সাধনার এক অনন্য দূত ফরিদা পারভীন। -সোহেল মো. ফখরুদ-দীন

  • সময় রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৩ পঠিত

 

বাংলাদেশের লোকসংগীতাঙ্গনে আজ এক শূন্যতার দিন। লালনগীতির মহান সাধিকা ফরিদা পারভীন চলে গেলেন না–ফেরার দেশে।১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকার মহাখালীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
শিল্পী ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের মধ্যে থেকেও শিল্পী গান থেকে বিচ্ছিন্ন হননি। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। অবশেষে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি বিদায় নিলেন। রবিবার সকাল থেকে তাঁর মরদেহ শ্রদ্ধা জানানো ও জানাজা শেষে কুষ্টিয়ায় বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে এমন কথা বলেছে পারিবারিক স্বজনরা।
শিল্পী ফরিদা পারভিন ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ফরিদা পারভীন শৈশব কেটেছে মাগুরা, নাটোর ও কুষ্টিয়ার নানা জেলায়। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি আকর্ষণ ছিল প্রবল। বাবার উৎসাহে ওস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে সংগীতে হাতেখড়ি নেন। পরে নজরুলসংগীত ও আধুনিক গান গেয়ে সংগীতজীবন শুরু করলেও লালনগীতি তাঁকে এনে দেয় বিশ্বজনীন পরিচিতি। ১৯৭৩ সালে কুষ্টিয়ার মোকছেদ আলী সাঁইয়ের কাছে ফরিদা পারভীন প্রথম লালনগীতির তালিম নেন। তাঁর গাওয়া প্রথম লালনের গান ছিল—“সত্য বল সুপথে চল ওরে আমার মন।” সেদিন থেকেই শুরু হয় লালনের সাধনায় আজীবনের নিবেদন। পরে খোদা বক্স সাঁই, করিম সাঁইসহ বহু সাধকের কাছে তালিম নিয়েছেন তিনি। পাঁচ দশকেরও বেশি সময়জুড়ে ফরিদা পারভীন ছিলেন লালনগীতির এক অনন্য সাধিকা। তাঁর কণ্ঠে লালনের গান হয়ে উঠেছে গভীর আধ্যাত্মিকতার বাহন। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেনসহ বহু দেশে তিনি লালনের গান পৌঁছে দিয়েছেন স্ব কন্ঠে।
১৯৮৭ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ২০০৮ সালে জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা তাঁর ঝুলিতে জমা হয়। “খাঁচার ভিতর অচিন পাখি”, “নিন্দার কাঁটা”, “এই পদ্মা এই মেঘনা”সহ অনেক গান আজও মানুষের হৃদয়ে অম্লান।ফরিদা পারভীন শুধু একজন সংগীতশিল্পী নন, তিনি ছিলেন লালনসাধনার এক অনন্য দূত। তাঁর প্রতিষ্ঠিত গানের বিদ্যালয় অচিন পাখি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে লালনের দর্শন ও গানের বাণী পৌঁছে দিচ্ছে। তিনি নিজেকে বলতেন লালনের গানের “সেবিকা”। আজ তিনি চলে গেলেও তাঁর কণ্ঠে লালনের বাণী যুগ যুগ ধরে বাঙালির হৃদয়ে জাগ্রত থাকবে। ফরিদা পারভীনের প্রস্থান বাংলাদেশের সংগীতজগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। পরম আত্মার শান্তি কামনা করছি।
————–
লেখক: সোহেল মো. ফখরুদ-দীন,সভাপতি, বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চা পরিষদ,সম্পাদক ও পরিচালক, ইতিহাসের পাঠশালা। চট্টগ্রাম।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট