ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গীবাজার ব্রীজঘাট এলাকা থেকে কোতোয়ালী থানার পুলিশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করে, যার ফলে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা আটক হয়েছেন। এই অভিযানটি ছিলো পুলিশের জন্য একটি বড় সাফল্য, কারণ আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুটি বিদেশী পিস্তল (ম্যাগাজিনসহ) এবং ৯ রাউন্ড গুলি। কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল করিমের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেন পুঃ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আফতাব হোসেন, পুঃ পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল আফ্রাদ, এসআই মনিরুল আলম খোরশেদ, এএসআই মাহবুবুর রহমান, সুমন মিয়া, মঈনুল হাসান মনির, খন্দকার মোঃ হাসান সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা। এই অভিযানে আটককৃতরা হলেন, চট্টগ্রাম কর্মাস কলেজের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইমরান আলী মাসুদ (৩৩) এবং চট্টগ্রাম ইসলামীয়া কলেজের সাবেক ছাত্রলীগের ভিপি ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মনছুর আলী (৪৭)।
পুলিশ তাদের হেফাজত থেকে দুটি বিদেশী পিস্তল এবং ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে, যা নিশ্চিতভাবে একটি বড় ধরনের অপরাধের দিকে ইঙ্গিত দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং এই ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
অভিযান শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর জোনের উপ পুলিশ কমিশনার শাকিলা সুলতানা সাংবাদিকদের সামনে একটি বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপন করেন। তিনি আটকের সাফল্য এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্রের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন, একইসাথে পুলিশের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তবে, তার সবচেয়ে বড় প্রশংসনীয় দিক ছিল, তিনি এসময় পুরো পরিস্থিতি অত্যন্ত শান্ত ও বিচক্ষণতার সাথে পরিচালনা করেন। যখন পুলিশ কর্মকর্তা শাকিলা সুলতানা থানা লকাবের মধ্যে এসে আটককৃতদের সঙ্গে কথা বলেন, তখন তিনি তাদের মনোভাব শান্তভাবে শুনে প্রশ্ন করেন। যদিও আসামীরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং উত্তেজিতভাবে কথাবার্তা বলেন, শাকিলা সুলতানা তাদের উত্তেজনার প্রতি কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে অত্যন্ত সংযতভাবে তাদের বক্তব্য শুনেন। তার কথায়, “আমরা শান্তভাবে সবকিছু পর্যালোচনা করছি এবং যেকোনো ভুল তথ্য না পাওয়ার জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।” উপ পুলিশ কমিশনার শাকিলা সুলতানা সাংবাদিকদের সামনে পুরো পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন এবং তাদের প্রশ্নের সঠিক ও সাবলীল উত্তর দেন। তার শান্ত মনোভাব এবং বিচক্ষণতার জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। আসামীদের কথাবার্তা শুনতে গিয়ে শাকিলা সুলতানা তাদের মনগড়া বক্তব্য উপেক্ষা করেন এবং আইনগত পদক্ষেপের জন্য পুরো পরিস্থিতির সার্বিক পর্যালোচনা করেন।
এটি কেবল পুলিশের অভিযান নয়, বরং শাকিলা সুলতানার পেশাদারিত্ব, বিচক্ষণতা এবং শীতল মনের পরিচয় দেয়, যা নিশ্চিতভাবেই চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। উপ পুলিশ কমিশনার উত্তর কথা বলার আগে ওসি আব্দুল করিম সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য কথা বল্লেই ও কিন্তু ডিসি ম্যাডামের কথাকে গুরুত্বসহ নিয়ে তার বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ জানান। তবে এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মনিকা নামে একটি তরুণীকে জিজ্ঞাসা করার জন্য থানায় নিয়ে আসেন।
Leave a Reply