আমিনুল হক রিপন,
নোয়াখালী, হাতিয়াঃ
হাতিয়ায় চৌমুহনী বাজারের দোকান ঘর ভেঙে গুড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পৌর আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবুল কাশেম নবীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে উপজেলার চৌমুহনী বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে। উল্লেখ্য যে উক্ত বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে তিন বার সালিশ হয়। হাতিয়া থানার তৎকালিন ওসি তৌহিদুল আনোয়ার এর তত্তাবধানে দুই বার সালিশ হয় যথাক্রমে ১লা নভেম্বর ও ১৫ ই নভেম্বর ২০২৪। এবং বর্তমান ওসি আজমল সাহেবের নির্দেশে এস আই মতিউর রহমান এর তত্তাবধানে যথাক্রমে জানুয়ারী ১৫ এবং ৩০ তারিখ সহ মোট চার বার সালিশ হয়, সেখানে নবীর কোন দলিল দেখাতে পারেননী। পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনীধি ও এস আই মতিউর রহমান এই মর্মে সিদ্বান্ত দেয় যে, যেহেতু নবীর এখন পর্যন্ত কোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই, সেহেতু জোলেখা বেগম কে তার জমি বুঝিয়ে দিতে হবে। যা ইতি পূর্বে তৎকালিন ওসি তৌহিদুল আনোয়ার দৈনিক প্রতিদিনের কাগজকে তার সত্যতা নিশ্চিত করেন। ঘটনার ভুক্তভোগী জোলেখা বেগম বাদি হয়ে হাতিয়া থানায় অভিযোগ করেন। একই অভিযোগ নৌবাহিনী কে ও করা হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুর রশিদের সন্তান জোলেখা খাতুন ও আবদুল সহিদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আবদুস সহিদ মারা গেলে তার ছেলে পৌর আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবুল কাশেম নবীর তার ফুফুর সম্পত্তি বুঝিয়ে না দেওয়াতে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি থানায় জোলেখা বেগম হাতিয়া থানায় বারবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানাতে শালিসী বৈঠকে আবুল কাশেম নবীর তার ফুফুকে ৩ একর ৫৮ শতাংশ জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। পরিবর্তীতে আবুল কাশেম নবীর তার কথা না রাখায় জোলেখার সন্তানেরা স্থানীয় চৌমুহনী বাজারের দোকান ভিটিতে একটি ঘর নির্মাণ করে। দুই দিন পর নবীরের লোকজন সেই ঘরটি রাতের আঁধারে সম্পূর্ণ ভেঙে গুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে নিয়ে যায়। জোলেখার ছেলেরা এ সময় বিষয়টি হাতিয়া থানায় বিষয়টি অবহিত করেন।
এ ঘটনায় জোলেখা বাদি হয়ে হাতিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবুল কাশেম নবীরকে প্রধান আসামী করে তার অনুসারী ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে আবুল কাশেম নবীরকে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নাই।
হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমর হুদা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠালে সেখানে কাউকে পাওয়া যায় নাই। বাদি জোলেখা বেগম দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ কে জানান , আবুল কাশেম নবীর হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা এবং পৌর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, সৈকত হোসেন নবীরের ছেলে AIUB ঢাকা তেজগাঁও শাখার ছাত্রলীগের ক্যাডার, মেহেদী হাসান ঢাকা তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগের ক্যাডার, আমজাদ হোসেন রনি মোহাম্মদ আলীর ক্যাডার এবং সাইয়্যেদুল হক ও মোহাম্মদ দুলাল আওয়ামী লীগের নেতা পরিচায়দানকারী , এই সকল আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এখনো রাস্তায় দিব্যি আরামে প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। সমন্বয়ক সাইফুল ০৯/০৩/২৫ রাত ১১ মোবাইল ফোনে ধমক দিয়ে রাত ২টার সময় হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাহায্যে ঘর উঠিয়ে নিয়ে যাবো বলে এবং তাই সে করেছে। তার সাথে সমন্বয়ক আরমান ও জড়িত আছে বলে জানান। জোলেখা বেগম মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসন এর সহযোগিতা আশা করেন।
Leave a Reply