আমিনুল হক রিপন, চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার ৩৯ নং ওয়ার্ডস্থ বন্দরটিলা শাহ প্লাজায় সাংবাদিক শহীদুল ইসলামের সন্তানকে বেধড়ক মারধর করেছে গত ২২ জুন ২০২৬ ইং রাত ৯ টার সময় ঐ ভবনের ইনচার্জ ফোরকান, মনিরুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম। কেন এবং কোন অপরাধে নিজ সন্তানকে এভাবে প্রহার করা হয়েছে তা জানতে চাইলে সাংবাদিক শহীদুল কে প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এই বিষয়ে তাকে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তৎপরবর্তী সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম নিজ পরিচয় দেন এবং এভাবে কেন কথা বলছে জিজ্ঞেস করলে শাহ প্লাজার ইনচার্জ ফোরকান, মনিরুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম দাম্ভিকতা কে প্রাধান্য দিয়ে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেও আক্রমণ করে বসে। পিতা পুত্রের আর্তনাদে আশেপাশের কেউ আসার আগেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটিয়ে দেয় অপরাধী ৩ কর্মচারী ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে। সাংবাদিক পুত্রকে লোহার রড দিয়ে সজোরে আঘাত করে তার মাথা ফাটিয়ে দেয় যেখানে পরে চিকিৎসার প্রয়োজনে ৪ টি সেলাই করতে হয়। সাংবাদিক শহীদুল কে চোখে আঘাত করে উপর্যপরি এবং বলতে থাকে জন্মের মত সাংবাদিকতা ছুটিয়ে দিব। এভাবে তখন সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়ে চমেক হাসপাতালে জরুরি সেবা নিতে গেলে অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় চিকিৎসক তাকে ভর্তি করে নেন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক সমাজে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং চট্টগ্রাম সিইপিজেড থানায় মামলা নং ১২/২০২৬ দায়ের করা হয়। আহত শহীদুল বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মামলা দায়ের পরবর্তী সিইপিজেড থানার ওসি মোঃ জামির হোসেন জিয়া দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার এর নির্দেশ দেন এবং অপরাধী যেই হোক না কেন অপরাধ করলে কোন ছাড় দেয়া হবে না এমনটাই মন্তব্য করেন। ওসি’র নির্দেশ পাওয়ার পর ১। মোঃ ফোরকান (৩৮), পিতা- মৃত সিদ্দিক আলম, মাতা- মোছাঃ জহুরা বেগম, সাং- জুইদল্লী, পোঃ-বুরুমছড়া,থানা-আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম, বর্তমানে- শাহ প্লাজা মার্কেট, ৫ম তলা, রুম নং- ৫২৩, বন্দরটিলা থানা-ইপিজেড,
২। মোঃ মনিরুল ইসলাম (২৮), পিতা- আব্দুস সালাম, মাতা- নুর বানু, সাং- চর ফয়েজউদ্দিন, ডাকঘর হাজিরহাট, থানা-মনপুরা, জেলা-ভোলা, বর্তমানে শাহ প্লাজা, ৫ম তলা, রুম নং- ৫৭১.
৩। মোঃ নুরুল ইসলাম (৫৪), পিতা- মৃত সৈয়দ আলী, মাতা- মোছাঃ জরিফা খাতুন, সাং- বড় তোফা, পোঃ-চুরিয়া৩। মোঃ নুরুল ইসলাম (৫৪), পিতা- মৃত সৈয়দ আলী, মাতা- মোছাঃ জরিফা খাতুন, সাং- বড় তোফা, পোঃ-চুরিয়া বিষ্ণুপুর, থানা-লাকসাম, জেলা- কুমিল্লা, বর্তমানে শাহ প্লাজা, ৪র্থ তলা, রুম ফ্যামিলী-০৫, বন্দরটিলা, থানা-ইপিজেড, বিষ্ণুপুর, থানা-লাকসাম, জেলা- কুমিল্লা, বর্তমানে শাহ প্লাজা, ৪র্থ তলা, রুম ফ্যামিলী-০৫, বন্দরটিলা, থানা-ইপিজেড দের কে বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে গ্রেফতার ও বিচার প্রক্রিয়ার জন্য মাননীয় আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামিদের মামলার এজাহার বিবেচনায় ২ ও ৩ নং আসামি কে মাননীয় আদালত জামিন মঞ্জুর করেন এবং ১ নং আসামি কে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বিষয়টি সাংবাদিক সহ স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, ঘটনার প্রকৃত সত্য লিপিবদ্ধের ক্ষেত্রে মামলা দায়ের এর সময় যেন সাধারণ নাগরিক হয়রানির শিকার না হয়। কোন অপরাধীদের দ্বারা সংগঠিত অপরাধ এজাহারের দূর্বলতায় আইনের ফাঁক দিয়ে সংঘটিত অপরাধ চক্রের হোতারা যেন সহজেই বেরিয়ে যেতে না পারে। এমনটা হলে নাগরিক সমাজের নিরাপত্তা ও জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি সংস্কারের অগোচরেই থেকে যাবে।
স্থানীয় লোকজন যথোপযুক্ত বিচার এর মাধ্যমে সমাজের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এসব অপরাধীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত এর জোড় দাবি জানান।
Leave a Reply