1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাঘাইছড়িতে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ জাল কাগজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে লোহাগাড়ায় সংবাদ সম্মেলন বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক বিজয় দিবস পালন সীতাকুণ্ডে বিজয় দিবস উদযাপিত বাঁশখালীতে ডিবির চেকপোস্টে অস্ত্রবাহী টেম্পু,৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৮ রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার, গ্রেফতার- ২ ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী আকবর শাহ থানা কর্তৃক আয়োজিত কর্মীসভা ও মতবিনিময় সভা। ২য় বর্ষ পেরিয়ে ৩য় বর্ষে সিএইচটি বার্তা ঈদগাঁওতে ৩দিন ব্যাপী বিজয় মেলার উদ্বোধন বায়েজিদের কুখ্যাত ধর্ষণের হোতা এলাকায় ঘুরছে বুক ফুলিয়ে

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কিংবদন্তি “গাজী মাযহারুল আনোয়ার” আর নেই

  • সময় রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩২৬ পঠিত

চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, সুরকার, গীতিকার স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কিংবদন্তি
“গাজী মাযহারুল আনোয়ার” আর আমাদের মাঝে নেই।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার
‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’সহ অসংখ্য গানের গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যু বরণ করেন।

আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাওয়ার সময় পড়ে যান গাজী মাজহারুল আনোয়ার। এরপর হাসপাতালে নিলে তিনি সেখানেই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ার এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে যান। তাঁর মেয়ে দিঠি আনোয়ার একজন কণ্ঠশিল্পী। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে আছেন। মেয়ে দেশে ফিরলে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন ছেলে সারফরাজ আনোয়ার।

জনপ্রিয় অনেক চলচ্চিত্রের গান ও কালজয়ী দেশাত্মবোধক গানের রচয়িতা গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তিনি ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে গাজী মাজহারুল আনোয়ার তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। বছরের পর বছর তিনি গান লিখেছেন। তাঁর গানে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, প্রকৃতি, জীবনবোধ, প্রেম, বিরহ, স্নেহ ও অনুভূতির কথা। এখন পর্যন্ত তাঁর রচিত গানের সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। জনপ্রিয় বেশ কিছু ঢাকাই সিনেমার পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন তিনি।

গাজী মাজহারুল আনোয়ারগাজী মাজহারুল আনোয়ার
১৯৬২ সালে গাজী মাজহারুল আনোয়ার লিখেছিলেন প্রথম গান ‘বুঝেছি মনের বনে রং লেগেছে’। গানটির সুর করেছিলেন নাজমূল হুদা বাচ্চু ও শিল্পী ছিলেন ফরিদা ইয়াসমীন। ১৯৬৪ সালে রেডিও পাকিস্তানে গান লিখে ৫০ টাকা আয়ের মাধ্যমে পেশাদার গীতিকার হিসেবে জীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৬৫ সালে চলচ্চিত্রে যুক্ত হওয়ার পর গাজী মাজহারুল আনোয়ার চিত্রনাট্য, গান, সংলাপ ও কাহিনি রচনা শুরু করেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই তাঁর অবদান ছড়িয়ে আছে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি অঙ্গনে।

তাঁর মেয়ে দিঠি আনোয়ার একজন কণ্ঠশিল্পীতাঁর মেয়ে দিঠি আনোয়ার একজন কণ্ঠশিল্পী
সুভাষ দত্তের ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ চলচ্চিত্রে ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’ গানটি দিয়ে চলচ্চিত্রের গান লেখা শুরু করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তিনি একজন সফল কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক। তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দেশ চিত্রকথা থেকে ‘শাস্তি’, ‘স্বাধীন’, ‘শর্ত’, ‘সমর’, ‘শ্রদ্ধা’, ‘ক্ষুধা’, ‘স্নেহ’, ‘তপস্যা’, ‘উল্কা’, ‘আম্মা’, ‘পরাধীন’, ‘আর্তনাদ’, ‘পাষাণের প্রেম’, ‘এই যে দুনিয়া’ নামের চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন।

বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০ বাংলা গানের মধ্যে তিনটি গান গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা। গানগুলো হচ্ছে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’ ও ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’। গীতিকার হিসেবে পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এ ছাড়া ২০০২ সালে একুশে পদক, ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্মৃতি পদক, একাধিকবার বাচসাস পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তিনি রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট