মোঃ শেখ ফরিদ, মীরসরাইঃ
প্রথমত জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিক কারো চাকুরে, এ কথাটি আসলে একটি বেমান উপস্থাপন, যদিও হালের দোকানদার মিডিয়ার কারণে বাজারে গাধা ও ঘোড়া একই দরে সমাদৃত।
বস্তুত জাতীয় আদর্শগত দিক দিয়ে সাংবাদিক, দার্শনিক, কবি ও সাহিত্যিক রাষ্ট্রীয় সম্পদ বলে গণ্য এবং তাঁরা কোন সরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনস্থ হয়ে চাকুরী করেন না বরং রয়েলটি তথা সম্মানি ভাতা গ্ৰহন করেন, বিনিময়ে সেবা প্রদান করে থাকেন। আর এই মানসিকতাকে পৃথিবীর প্রায় সকল জাতি ও সভ্যতা সন্মানের সাথে মেনে চলেন।
এছাড়াও সাংবাদিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলে গণ্য, এমতাবস্থায় একজন সাংবাদিক ও চাকুরে শব্দ দুটি বেমানান নয় কেনো। বরং সুদ্ধ ও সঠিক বলে গণ্য যে সরকারী অথবা বেসরকারী যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত সম্মানী ভাতার বিনিময়ে সাংবাদিক রাষ্ট্র ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সেবা প্রদান করে থাকেন। অতএব সাংবাদিক চাকরি করেন বা সাংবাদিকের চাকরি চ্যুত -এসব বাক্যই নেতিবাচক বলে গণ্য নয় কেনো, সুসভ্য যেকোনো জাতির মানুষের কাছে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
দ্বিতীয়ত এই পৃথিবীর গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তথা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে হেন ব্যক্তি নেই যাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে তিরস্কার করা থেকে শুরু করে গালি দেয়া বা তাদেরকে নিয়ে প্যারোডি গান, কবিতা, ব্যাঙ্গচিত্র হামেশাই প্রকাশিত হয় না, এমনটাও নয় কিন্তু তাঁরা সবাই মহানুভবতার প্রমাণ দিতে গিয়ে ওসব কিছু এড়িয়ে চলেন। এছাড়াও ভদ্র সমাজ অনেক কিছুই এড়িয়ে চলেন, তারা পাছে লোকে অনেক কিছুই বলে,এসব নিয়ে পরে থাকেন না।
তাহলে বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ বয়সী জাতীয় নাগরিক পার্টির একজন নব্য রাজনৈতিক নেতাকে গালি দেয়ার কারণে যদি সাংবাদিকের এহেন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তবে বিষয়টির মানে আসলে কি হোলো।
কেননা, সবাই জানেন যে একজন রাজনৈতিক নেতার ক্ষমতার প্রভাবে একজন সাংবাদিকের এমন বিড়ম্বনায় পরার সম্ভাবনা একেবারেই নেই, অতএব সারজিস আলমও এঘটনায় কেউ না।
তবে যে কর্তৃপক্ষ সারজিস আলমকে গালি দেয়ায় সাংবাদিকের কর্মস্থলে বাঁধার সৃষ্টি করেছেন, ভালো মানুষ সেজে। সেই কর্তৃপক্ষ মূলতঃ ইতিহাসের পাতায় সারজিস আলমকেই হাসির পাত্র বানিয়ে তার রাজনীতির কোমড় ভেঙে দিলেন এবং এটা সারজিস আলমরা এখনও সদ্য যুবক ও অভিজ্ঞতা শূন্য বলে বুঝতে সক্ষম হননি, এমনটাই সমাজের সভ্য ও অভিজ্ঞরা মনে করেন।
ওদিকে দেখা গেছে সারজিস আলমের অপর জুড়িদার হাসনাত আবদুল্লাহ হয়তো বিষয়টা এরই মধ্যে অনুভব করতে পেরেছেন তাই সে তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে ওই সাংবাদিকদের পক্ষে দেরীতে হোলেও সুপারিশ করেন। আমরাও চাই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেনো না ঘটে, আর এটাই সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply