1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি বৈষম্যবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার রাঙ্গামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী জনির মৃত্যু। চট্টগ্রাম জেলা প্রেস ক্লাবের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত দুবাই গোল্ড সূকে নতুন বিনিয়োগে এগোচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা চট্টগ্রামে অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার ৭ম বর্ষপূর্তি: সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি পটিয়ায় কচুয়াই নতুন বাড়ি ওয়েলফেয়ার সোসাইটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন বুড়িগঙ্গা নদী থেকে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ০৪ জনের মরদেহ উদ্ধার বাঘাইছড়িতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে সমাপণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত আমতলী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি পূর্ণগঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত এপেক্স ক্লাব অব বার আউলিয়া’র সেলাই মেশিন বিতরণ

৩৪ বছর পরে ও কাঁদায় ১৯৯১ সালের সেই ২৯ এপ্রিল, উপকুলের বুকে রয়ে গেছে কান্না আর শুন্যতার ক্ষত

  • সময় মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১০৪ পঠিত

মোহাম্মদ আলবিন (চট্টগ্রাম)আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ

আজ ২৯ এপ্রিল। দিনের পাতায় একটি সাধারণ তারিখ হলেও চট্টগ্রামের উপকূলবাসীর হৃদয়ে এটি এক ভয়াল ট্রাজেডির দিন। ১৯৯১ সালের এই দিনে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়(Cyclone Gorky) আঘাত হেনেছিল চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলায়। শুধু সরকারি হিসেবেই প্রাণহানির সংখ্যা ছিল আনুমানিক ১৩ হাজারের বেশি—যার বেশিরভাগই ঘটেছিল এই দুই উপজেলার উপকূলীয় গ্রামগুলোতে।

সে রাত যেন মৃত্যু ও ধ্বংসের আরেক নাম। সাগরের উথাল জলোচ্ছ্বাসে নিমেষে তলিয়ে গিয়েছিল গ্রাম, ঘরবাড়ি, মাঠঘাট—আর হাজারো মানুষের স্বপ্ন। ভোর হলে ভেসে উঠেছিল মৃতদেহ, কান্না আর হাহাকারের মিছিল।
এই ভয়াল রাতের একজন জীবিত সাক্ষী নুরুল আলম(৬০) বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা বেড়িবাঁধ এলাকায়। সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও হারিয়েছেন মা ও মামাকে। সেই শোক বয়ে বেড়াচ্ছেন বোবা কান্নায়।

ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আনোয়ারার রায়পুর, জুঁইদন্ডী ও বারখাইন গ্রাম। মৃত্যুর পরিসংখ্যান তখন কেবল সংখ্যা ছিল না—তা ছিল একেকটি পরিবারের গল্প, প্রতিটি কবর ছিল একেকটি স্বপ্নের সমাধি।
সেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষদর্শী জেবল হোসেন (৫৫) জানান, এ ঘূর্ণিঝড়ে খুব সতর্কতার সাথে আমি আমার পরিবারকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে ছিলাম। আমার পরিবারের কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও, সেই সময়কার টগবগে তরুণের চোখে দেখেছি লাশের পর লাশ, কেউ হারিয়েছে পরিবার কেউ হারিয়ে যাচ্ছে স্বজন। স্মৃতিগুলো মনে পড়লে এখনো চোখে জল আসে।

আজও সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে উপকূল। বেড়িবাঁধের ভঙ্গুর অবস্থান, পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টারের অভাব আর নদীর ঢেউয়ের আঘাতে প্রতি বছরই নতুন নতুন ভয় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন এখানকার মানুষ। রায়পুর ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বহুস্থানে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও কবরস্থান পর্যন্ত বিলীন হয়ে গেছে নদীতে।
স্থানীয়দের দাবি, টেকসই বেড়িবাঁধ ও আরও আশ্রয়কেন্দ্র না থাকলে ভবিষ্যতেও এমন বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব নয়।
আজ ২৯ এপ্রিল। কিন্তু এখানে এই তারিখ শুধু পঞ্জিকার পাতায় নয়—এটি লেখা আছে উপকূলের প্রতিটি হৃদয়ে, প্রতিটি কবরের পাশে, প্রতিটি বেঁচে যাওয়া মুখে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট