মোঃ কায়সার. চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক পথশিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মাত্র ১২ বছরের শিশুটি একদিন ধরে ক্ষুধার্ত ছিল,সেই সুযোগে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে দুই যুবক তাকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে,পরদিন সকালে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশুটি বাধা দেয়,এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা শিশুটিকে বেল্ট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনাটি ঘটে রোববার ১৩ জুলাই।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। আদালতে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
পিবিআই জানায়,১২ জুলাই ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে পথশিশুটির সঙ্গে পরিচয় হয় আল-আমিন ও সাদ্দাম নামের দুই যুবকের,শিশুটি বরিশাল যাওয়ার ট্রেন সম্পর্কে জানতে চাইলে আল-আমিনরা বলেন, বরিশালে ট্রেন যায় না,কথার একপর্যায়ে শিশুটি জানায়, সে একদিন ধরে কিছু খায়নি,এরপর তারা তাকে খাবার ও একটি জুতা কিনে দেয়।
সন্ধ্যায় শিশুটিকে যাত্রাবাড়ীর একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়,রাতে হোটেল কক্ষে দুজনে মিলে শিশুটিকে ধর্ষণ করে,এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরদিন সকালে ফের ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে বাধা দেয়,তখন ক্ষিপ্ত হয়ে তারা বেল্ট দিয়ে মারধর করে, একপর্যায়ে শিশুটি মারা যায়।
হোটেল কর্মীরা সকালে রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে শিশুটির নিথর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পিবিআই জানায়,আল-আমিনকে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,আদালতে তিনি স্বীকার করেছেন,তিনি এবং সাদ্দাম যৌথভাবে এই পাশবিক কাজে জড়িত ছিলেন,সাদ্দাম পলাতক থাকলেও তাকে ধরতে অভিযান চলছে।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন,শিশুটির এখনো কোনো পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি,তার মরদেহ মর্গে রাখা আছে।
Leave a Reply