মোঃ শেখ ফরিদ মিরসরাই প্রতিনিধি।
বিএনপিতে এখন, হাইব্রিড,দের দাপট তুঙ্গে। বিগত দিনে যারা নির্বিঘ্নে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন, তাল মিলিয়ে চলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে তারাই এখন বিএনপির, হর্তাকর্তা। তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছেন নব্য বিএনপি নামধারী অনেকে। যারা কখনোই বিএনপিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না। অথচ তারাই এখন দখল, টেন্ডার ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন। এসব ঘটনার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে, হাইব্রিড,দের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর ওপর দায় চাপানো হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দলটির ত্যাগী এবং দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা বিব্রত এবং এক রকমের কোণঠাসা।
সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল চট্টগ্রাম উত্তর উপজেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে কিছু ফেক আইডির তৎপরতা, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বাংলাদেশ জাতীয়তা দল বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান এর সম্পর্কে, ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটি কোনো সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা নয়, বরং এটি একটি নিন্দনীয় অপপ্রয়াস, যার মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা ও জনসাধারণরা।
জনসাধারণ জানান
একজন সৎ ও দক্ষ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান , দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসছেন। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। নুরুল আমিন সাহেব এর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা দেখে কিছু মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে চেয়ারম্যান সাহেব এর বিরর, কিন্তু প্রশ্ন হলো—এসব কথার কি কোনো সত্যতা আছে। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেক আইডি দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন, তারা কি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারবেন। যদি না পারেন, তবে দয়া করে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচার থেকে বিরত থাকুন।
এবিষয়ে ৭ নং কাটাছরা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক নুরুল আলম মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন।
মিথ্যা অপপ্রচারের পরিণতি
জনপ্রিয় ব্যক্তির সম্মানহানি ঘটে।তিনি বলেন কিছু দিন আগে থেকে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান সাহেব এর বিরুদ্ধে কিছু ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার করে আসছে, এই অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হচ্ছে এবং রাজনৈতিক ভাবে ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে
সমাজে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে ।
রাজনৈতিক শালীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নষ্ট হচ্ছে।শুধু তাই নয়
আইনি জটিলতার শিকার হতে পারেন এসব অপপ্রচারকারীরা।
তিনি আরও বলেন
সকলের প্রতি আহ্বান
গুজবে কান দেবেন না, তথ্য যাচাই করুন, অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক যুক্তির, মিথ্যার নয়।
সামাজিক শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখুন।
নুরুল আলম মেম্বার আরও বলেন,
রাজনীতি মতাদর্শের পার্থক্য থাকতেই পারে, তবে সেটি কখনোই ব্যক্তিগত আক্রমণ কিংবা মিথ্যা প্রচারের পর্যায়ে যাওয়া উচিত নয়। আসুন, আমরা সকলেই দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সত্যের পক্ষে দাঁড়াই এবং গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকি।
সতর্ক থাকুন, গুজব প্রতিরোধ করুন এটাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ।
ছাত্র দল নেতা নাঈম সরকার বলেন,
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এবং বিরোধী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজেদের সংগঠনের সমালোচনায় নৈতিক ভাবে পরাজিত হয়ে, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে জনপ্রিয় একজন নেতার,ইমেজ ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও জানা যায় ফেসবুকে ভাইরাল করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মিরসরাইয়ের বিভিন্ন ইউনিয়নের। সভাপতির ইমেজ এবং সংগঠনের ইমেজ ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছে।
এসকল অপপ্রচার করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ইমেজ এবং কার্যক্রম ব্যহত করা যাবে না, ইনশাহআল্লাহ।
স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন,
যদিও হাইব্রিডদের বিষয়ে পটপরিবর্তনের শুরু থেকেই কঠোর বিএনপি হাইকমান্ড। এখন থেকে আরও কঠোর হচ্ছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে নির্দেশনা দিয়ে হাইব্রিডদের দলে জায়গা না দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এমনকি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
যাদের বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে তদন্ত করে প্রমাণ পেলে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু নুরুল আমিন চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে এই অপপ্রচার এর তৎপরতায় তদবির করে বহিষ্কার করা হয়েছে, এরই ধারাবাহিকতায় মিরসরাই ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে জনসাধারণের মধ্যে তিব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং দলীয় শৃঙ্খলার ব্যাপারে খুব কঠোর অবস্থা, সংগঠনের পরিচয় ব্যবহার করে কোথাও দখল বাণিজ্যের কোনোরূপ ঘটনা পরিলক্ষিত হওয়া মাত্রই অপরাধীকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আটক করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জানানোর জন্য সচেতন জনসাধারণ ও ভুক্তভোগীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
তৃণমূল নেতাদের কাছে জানতে চাইল বলেন, হাইব্রিড নেতাদের বিষয়ে তারা সতর্ক রয়েছেন। এরই মধ্যে দল থেকে নেতাকর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে। দলে যোগদান অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপরও বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অনেকে অনেক অপকর্ম করছেন। যাদের সঙ্গে বিএনপির ন্যূনতম কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এসব বিষয়ে তারা যথেষ্ট সজাগ রয়েছেন। বিএনপির দুর্দিনে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, পরিশ্রম করেছেন-দল তাদের মূল্যায়ন করবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বিষয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীকে বিভিন্ন সময়ে আশ্বস্ত করে আসছেন ।
সরজমিন দেখাযায় ,ফেক আইডি দিয়ে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপি যার বিরুদ্ধেই অভিযোগ পায়, তদন্তে প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমন ধরনের পদক্ষেপ অন্য কোনো রাজনৈতিক দল নিয়েছে, এমন নজির নেই। পদক্ষেপের বিষয়টি নিঃসন্দেহে কাজে লেগেছে, না হলে বিব্রতকর পরিস্থিতি আরও বাড়ত। কারণ গত ১৭ বছরে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে হয়রানি, নির্যাতন নিপিড়ন হয়েছে, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান ও তার স্তরের নেতাকর্মীরা। তাদের মধ্যে সৃষ্ট দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভের বহির্প্রকাশ আরও তীব্র হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দলের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে সেই ক্ষেভের প্রকাশ আর বেশি তীব্রতা পায়নি। এমন পদক্ষেপে ভয় পেয়ে গেছেন সারা দেশের নেতাকর্মীরা। আবার কিছু মিডিয়া ট্রায়ালও আছে। বিভিন্ন ঘটনা অতিরঞ্জিতভাবে দেখানো হয়েছে। দল শক্ত হাতে ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে, সংগঠনবিরোধী কোনো কার্যকলাপ বা অনৈতিক কাজে কেউ জড়িত হওয়ার আর সাহস পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। প্রতিনিয়ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দলের নাম করে যে চাঁদাবাজি বা কোনো অপকর্ম করছে তাদের নামে মামলাও দেওয়া হচ্ছে।
দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, দলীয় কার্যালয় ছাড়াও বিভিন্ন সড়কের গ্রামগঞ্জে অলিগলিতে হাইব্রিড নেতাদের ব্যানার, পোস্টার শোভা পাচ্ছে। বিভিন্ন নেতার বাসাবাড়ি কিংবা অফিসে এসব নেতার পদচারণাও বাড়ছে। ভিড় করছেন বিভিন্ন লবিং-তদবির নিয়ে। অন্যদিকে, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে যেসব নেতাকর্মী রাজপথে ছিলেন, মামলা-হামলায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, ঘরছাড়া হয়েছেন, তারা এখন অনেকটা, অসহায়। হাইব্রিড নেতাদের চাপে তাদের অনেকেই এখন দলীয় কার্যালয়, নেতাদের বাসাবাড়ি এড়িয়ে চলছেন। অহেতুক মিথ্যা অভিযোগে বহিষ্কার আতঙ্ক নিয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন অনেকে। বিএনপির একাধিক নেতা জানান, ৫ আগস্টের আগে রাজপথে বা মিটিং মিছিলে বিভিন্ন কার্যালয়ে গুটিকয়েক নেতাকর্মীকে দেখা যেত। কিন্তু পটপরিবর্তনের পর এখন নেতাকর্মীদের ভিড়ে কার্যালয় বা বিএনপির প্রায় অফিসে ঢোকাই যায় না।
মিরসরাইতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী অভিযোগ করেন, নানা অপকর্মে হাইব্রিডরাই বেশি জড়িত। অনেকেই ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর এখন যুবদল বা ছাত্রদল নেতা বনে গেছেন।
স্থানীয় বিএনপির নেতারা বলেন, দলের নাম ব্যবহার করে যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, সেগুলো দল গ্রহণ করবে না।
আমাদের কাছে অভিযোগ এলে তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। কথা পরিষ্কার, কোনো ব্যক্তির অপকর্মের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারেন, সবাই যে তুলশীপাতা তা কিন্তু নয়, দলেএসবের প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply