1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বাঘাইছড়িতে মুসলিম ব্লক কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রয়েছে পাঁচ মাস ধরে নিম্নকক্ষে নয়, উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চায় এনসিপি। কবিতা সৌদি আরবের জিয়া ট্রি বা জিয়া গাছের ইতিহাস। বান্দরবানে পর্যটন সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় ও কমিউনিটি পুলিশিং সভা এপেক্স ক্লাব অব বোয়ালখালী কমিটি গঠনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত। কুমিল্লায় চার মাজারে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা। রাউজান পশ্চিম নোয়াজিষপুর ও দক্ষিণ নদীমপুর সমাজ কল্যাণ পরিষদ’র উদ্দ্যোগে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত বাগমারায় জামায়াত নির্বাচিত হলে অনিয়ম-দুর্নীতি থাকবে না -ডাঃ বারী বোয়ালখালীতে ঈদে মিলাদুন্নবী মাহফিল

জন্মনিয়ন্ত্রন পিল আত্ববিধ্বংসী এক মারণাস্ত্র : লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্

  • সময় রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১
  • ৬৪৬ পঠিত

সম্পাদকীয়ঃ

আজ ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।
মুসলিম দেশে এ দিবসে অনুষ্ঠান হয় জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতিকে উতসাহিত করতে।
কিন্তু জন্মনিয়ন্ত্রনের ক্ষতিকর দিক তারা বলেনা।

পরিবার পরিকল্পনার সাথে যে বিষয়ের সম্পর্ক রয়েছে তার নাম ‘নিয়ন্ত্রণ’। আরেকটু সহজ করে বললে, “জন্ম নিয়ন্ত্রণ”। এর জন্য রয়েছে “ক্যাফেটেরিয়া অফ চয়েস”। মানে নিয়ন্ত্রণের একগুচ্ছ পদ্ধতি। সেখান থেকে জেনে বুঝে নিজেদের পছন্দ মত পদ্ধতি বেছে নেয়া।

তো যেসব পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো হল- ১) পিল, ২) ফোম ট্যবলেট, ৩) নরপ্লান্ট, ৪) ইনজেকশন, ৫) লাইগেশন (টিউবেকটমি), ৬) কপারটি, ৭) ভ্যাসেকটমি (for male), ৮) কনডম (for male), ৯) আইইউডি, ১০) ল্যাম (LAM)।

পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে শতকরা ২৬ ভাগ দম্পতি জন্ম নিরোধের জন্য খাবার বড়ি ব্যবহার করেন।এই পিলের বিজ্ঞাপনে বলা হয় “স্বল্প মাত্রার” জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী পিল যা সম্পূর্ন “পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন”।

এই যে বলা হয়ে থাকে স্বল্প মাত্রার জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী পিল। এবার আমার জানার জায়গা টা হলো, সাধারণ মাত্রাটা কত? আর “পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন” হলে কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে?

কন্ট্রাসেপটিভ পিল বা জন্ম বিরতিকরণ পিল তৈরি হয় এসট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরোন নামক দুই ধরনের হরমোন দ্বারা। এসস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন সমন্বিত পিল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এসস্ট্রোজেন সব সময়ই রক্তে লিপিডের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এসস্ট্রোজেন মায়ের দুধের পরিমান কমিয়ে দেয়, ফলে শিশু খেতে পায় না।

এছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রন পিল-
– বমি বমি ভাব
– বমি হওয়া
– মাথা ঘোরা, মাথা ব্যাথা
– স্তনে ব্যাথা
– বিষণ্ণতা
– চুল পড়ে যাওয়া
– যৌন শক্তি কমে যাওয়া
– মাসিকের সময় পেট ব্যাথা হওয়া, পেট কামড়ানো
– পায়ের গোশত পেশিতে যন্ত্রণাদায়ক খিল
– অনিওয়মিত রজঃস্রাব
– সাদা স্রাব
– যোনি ও যোনি মুখে ক্যানডিরার আক্রমণ
– ওজন বেড়ে যাওয়া
– চর্বি বেড়ে যাওয়া
– প্যানক্রিয়াটাইটিস
– গলব্লাডার স্টোন
– গ্লাইকোসুরিয়া
– উচ্চ রক্ত চাপ
– রক্তনালি তে রক্তের জমাট বেঁধে যাওয়া
– জরায়ুতে ফাইব্রয়েড নামক টিউমার হওয়া
– স্তনের ক্যান্সার

পিল খাওয়ার প্রভাব :
১) মেদ বাড়িয়ে শরীর ভারি ও অসাড় করে দেয় ।
২) বেশি দিন ধরে খেতে থাকলে একটা পর্যায়ে শরীরে সারাক্ষণ ক্লান্ত অনুভূত হয়।
৩) প্রতিনিয়ত খাওয়ার প্রভাবে মেয়েদের জরায়ুর আকার ছোট হয় ।
৪) মেয়েদের মাথা ঝিমঝিমানির বড় কারণ নিয়মিত এসব পিল সেবন ।
৫) নিয়মিত ৫ বছরের বেশি সময় খেতে থাকলে পরবর্তীতে মেয়েদের সন্তান ধারণে অক্ষমতা দেখা দেয়।
৬) এসব পিল বেশি বেশি খাওয়ায় মাঝে মাঝে ঘুম থেকে ওঠার পর মেয়েরা শরীরে চলাফেরার মতো শক্তিও হারিয়ে ফেলে।
৭) নিয়মিত ও দীর্ঘদিন জন্ম বিরতিকরন পিল খেলে সার্ভাইকাল ক্যান্সার সহ স্তন ক্যান্সার, ওভারিয়ান ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৮) এই জন্ম বিরতিকরণ পদ্ধতি বন্ধ করে দেয়ার পর গর্ভধারণে দেরি হয়।
৯) এইচআইভি/এইডস সহ যৌন সংক্রামক অসুখ প্রতিরোধে কোনো কার্যকরী ভূমিকা রাখে না।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট