
মোঃ শহিদুল ইসলাম
বিশেষ সংবাদদাতাঃ
চট্টগ্রাম নগরীর দীর্ঘদিনের যানজট নিরসন ও সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে দামপাড়াস্থ সিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ আসফিকুজ্জামান আকতার, বিপিএম। তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এখন সময়ের দাবি অনুযায়ী পুনর্বিন্যাস করা জরুরি। নগরবাসীর ভোগান্তি লাঘবে পুলিশসহ সব সংস্থার মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।”
সভায় সিদ্ধান্ত হয়—বশিরুজ্জামান গোলচত্বর ও নতুন ব্রিজ এলাকার বর্তমান বাস স্টপেজ নদীর অপর পাড়ে স্থানান্তর করা হবে, যাতে এলাকায় ট্রাফিকের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করা যায়। পাশাপাশি নালার উপর স্থাপিত অবৈধ দোকানপাট, হকারদের দখল এবং অনিয়মিত পার্কিং কার্যক্রম দ্রুত অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সভায় সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের তিন উপ-পুলিশ কমিশনার উপস্থিত ছিলেন—নেছার উদ্দিন আহম্মেদ, পিপিএম (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত, ট্রাফিক-উত্তর),মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খান, পিএসসি
(ট্রাফিক-দক্ষিণ),এবং কবীর আহম্মেদ (ট্রাফিক-বন্দর)।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-এর প্রতিনিধিরা।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, নগরীর সড়কজট নিরসনে পুলিশ, প্রশাসন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সমন্বিত পদক্ষেপই একমাত্র কার্যকর সমাধান। এজন্য দ্রুত মাঠপর্যায়ে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন জরুরি বলে মত দেন তারা।
সভায় আরও আলোচিত হয়—চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে পার্কিং নিয়ন্ত্রণ, স্মার্ট ট্রাফিক সিগন্যাল সম্প্রসারণ, ট্রাফিক সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং বিকল্প রুট উন্নয়নের বিষয়।
সভা শেষে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ আসফিকুজ্জামান আকতার বলেন,“চট্টগ্রাম একটি বন্দরনগরী—এখানে যানবাহনের চাপ দিনদিন বাড়ছে। আমরা যদি এখনই বাস্তব পদক্ষেপ না নিই, তাহলে নগরজীবন স্থবির হয়ে পড়বে। আজকের সভার সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”চট্টগ্রাম মহানগরের সড়কজটমুক্ত পরিবেশ ও নিরাপদ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
Leave a Reply