সমসাময়িক ভাবনাঃ
ভালো নেই দেশের ব্যবসায়ীরা! হাসি নেই মানুষের মুখে।
আসছে রমজান বাড়ছে আতঙ্ক কি হবে সামনের দিনগুলো?
কেননা এমন প্রশ্ন এখন দেশের ১২ কোটি বুদ্ধিদৃপ্ত মানুষের! কেবল টেনশন মুক্তু আছে কোমলমতি ৬ কোটি শিশু! ব্যবসা-বাণিজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন! কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না মানুষ!
করোনা আতঙ্কে আবারো জনজীবনে নেমে এসেছে অস্থিরতা! ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে গভীর সংকট! আতঙ্ক নয় চাই সচেতনতা। জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি মনের সাহস বনের বাঘ কেও তাড়াতে পারে! তাই দেশের মানুষের মনে শক্তি ও সাহস যোগাতে হবে #কেননা
করোনা মহামারী মানুষের যে পরিমান ক্ষতি করেছে তার চেয়ে ৭০ শতাংশের বেশি ক্ষতি করেছে লকডাউন প্রথা তথা জনআতঙ্ক!
এই লকডাউন প্রথার কারণে অনেক ব্যবসায়ীর জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভিক্ষ! অনেকই শহর ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে নিঃস্ব হয়ে গ্রামে ফিরে গেছেন ! বর্তমান পরিস্থিতিতে আবারও যদি পৃথিবীর কোন দেশ লকডাউন প্রথার চিন্তা করে তাহলে সেটা হবে আরেকটা বড় ভুল সিদ্ধান্ত!
কেননা
মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হলে অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়বে!
করোনাকালে প্রাণহানির চেয়ে ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ আর্থিক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছেন! আমার মতে ১৮ দিনের বেশি লকডাউন প্রথাটা সমগ্র পৃথিবীর জন্য ভুল ছিলো। মূলত করোনা মহামারীর জন্ম হয়েছিল শীত মৌসুমে চীন’র একটি শহর থেকে! মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে পৃথিবীর ২০০টির বেশি দেশের কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে করোনা বিস্তার সমগ্র পৃথিবীব্যাপীতে!
তখন বিজ্ঞানীরা বলেছিল পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে আসবে এটাও ভুল বলে প্রতিয়মান হয়েছে!
কারণ বর্তমান পৃথিবীর উষ্ণ আবহাওয়ার মধ্যে করোনা বিস্তার হওয়ার কথা নয়! এ ছাড়া করোনা প্রতিরোধের চেয়ে ভয় বিস্তারে বেশি কাজ করেছে WHO! মানুষের মনে ভয় তৈরী করাও একটা অপরাধ। করোনা বিস্তার নিয়ে বিজ্ঞানীদের অনেক মন্তব্য আমার মতে সঠিক ছিলো না! করোনা নিয়ে যেসব ভিডিও তখন ভাইরাল হয়েছিলো তা বহুজাতিক কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য কি না সন্দেহ হয়।
আমার মতে লকডাউন প্রথার কারণে সমগ্র দুনিয়ায় অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে! দীর্ঘমেয়াদী লকডাউন এর ফলে যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে পৃথিবীর মানুষ যা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আরও কয়েক বছর লেগে যাবে!
আমি বিশ্বাস করি লকডাউন নয় লকডাউনের বিকল্প অনুসন্ধান করতে হবে! করোনার ভয় কে জয় করে মানুষের জীবনযাত্রা যেকোনো মূল্যে স্বাভাবিক রাখতে হবে।
আমার মতে করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য যা করণীয়!
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ তাই পরিষ্কার ও পবিত্র থাকতে হবে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন ৩ বার পাঠ করুন করোনার দোয়া। এবং রাতে বাসায় এসে গোসল করতে না পারলেও অজু করতে ভুলবেন না। এ ছাড়া দিনে কম হলেও ২ বার হাতে মুখে আতর ব্যবহার করতে পারেন!
একুশ শতকের বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকার’র নির্দেশ পালন করে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে হবে তাহলেই ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ আর্থিক মহাবিপর্যয় থেকে।
নিরাপদ হোক সবার জীবন, ভালো থাকুক প্রিয় বাংলাদেশ। সবার জন্য শুভ কামনা
লেখকঃ
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি
Leave a Reply