আজ ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করা হবে সংসদে। এবারের বাজেটটি এমন একসময় আসছে যখন বাজারে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বি। তাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা নতুন এই বাজেটে যেন ভোগ্যপণ্যের দাম কমানোর ব্যবস্থা রাখে সরকার। নতুন বাজেটে নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানোর পদক্ষেপ যেন থাকে, যাতে করে বাজারের আগুন থেকে নিষ্কৃতি মেলে সাধারণ মানুষের। সাধারণ মানুষ শুল্কের এতো মার-প্যাঁচ বুঝতে চান না এবং বাজেট উচ্চাভিলাসী হলো নাকি, বিনিয়োগবান্ধব হলো, না গরিববান্ধব হলো-এসব নিয়েও তাদের মাথাব্যথা নেই। তাদের একটিই চাওয়া কী করলে বাজারে পণ্যের দাম কমবে-সরকার যেন সে পদক্ষেপ নেই বাজেটে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন-একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষ নয়, একেবারে ধনী শ্রেণি ছাড়া উচ্চ মধ্যবিত্ত-মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত-সব শ্রেণির মানুষই খুব কষ্টে আছে। আর তাদের কষ্টের মূল্য কারণ হচ্ছে-উচ্চ মূল্যস্ফীতি। তাই বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার দিকে। দেশের মানুষ কষ্টে আছে-এতে কোনো সন্দেহ নেই। মানুষের কষ্টের মাত্রা বেড়েছে শুধুই পণ্য ও সেবার ভোগব্যয়ের উল্লম্ফনের কারণে। মূল্য বৃদ্ধির এই উল্লম্ফন বৈশ্বিক অস্থিরতা বা বিশ্ব বাজারে মূল্য বৃদ্ধির কারণে যদি ১০ শতাংশ হয়-বাকি ৯০ শতাংশ হয়েছে দেশের ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার লোভ ও অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাপনার কারণে। পণ্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরতে হলে নতুন বাজেটে যেমন অনেক পণ্যের শুল্ক কমাতে হবে, তেমনি বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে-তারও একটি গাইড লাইন দিতে হবে।’
লেখক: প্রাবন্ধিক ও গবেষক।
Leave a Reply