আসাদ হোসেন রিফাতঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহাৎসব চলছে।
প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন। অবৈধ ভাবে নদী থেকে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে বাড়ী ঘর, রাস্তাঘাট, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধসহ ফসলী জমি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে আইয়বের মোড় এলাকায় এক জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে ৩টি পয়েন্টে ও গড্ডিমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও ট্রাক্টর দিয়ে বালু পরিবহন।
এসব পয়েন্টে ট্রাক্টরের সারিবদ্ধ ভাবে আনা নেয়ার লম্বা লাইন দেখে যে কারো মনে হবে যেন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহাৎসব চলছে। আর যত্রতত্র ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তঘাট নষ্ট হয়ে একদিকে যেমন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অপরদিকে ধুলা স্তুপ পড়ে গেছে। ট্রাক্টর চলাচলের ফলে ধুলা এলাকার বসতবাড়ীতে ঢুকে বসতবাড়ীতে থাকার অযোগ্য পরিবেশ হয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী তাদের চলাচলের রাস্তা-ঘাট নষ্ট হওয়ায় প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না।অার বালু দস্যূরা অসাধু কিছু লোকের সাথে আতাত করে নির্বিচারে বালু ব্যবসা করে আসছে। এই বালু উত্তোলনে শুধু ক্ষতিই নয় সরকার কোটি-কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
বালু পরিবহনের ট্রাক্টর মালিক লাভলু ও আব্দুর রাজ্জাক জানান, সিঙ্গিমারী ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোনেস দুলু আমাদের বালু উত্তোলন করতে বলেছেন। আর এসব বালু চেয়ারম্যানের নবনির্মিত তিস্তা অটো রাইস মিলে দিচ্ছি।
তবে সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কে আমার কথা বলেছে আমি খোজ নিয়ে দেখছি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন জানান, ইতিপূর্বে আমরা বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছি। এবং কিছু নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী জোরদার অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply