পলাশ সেন, মহানগর প্রতিনিধিঃ
শীত, গ্রীষ্ম কিংবা প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে সংস্কার বা সংযোগের নামে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ওয়াসা ও বিটিসিএলের রাস্তা খোঁরা খুড়িঁ পরবর্তী সংস্কার কাজ অসমাপ্ত রাখার কারণে সৃষ্ট ছোট বড় গর্তে বর্ষা মৌসুমের আগেই সামান্য বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে দুর্ঘটনাকবলিত হয় রিক্সা বা মোটরসাইকেল আরোহী যাত্রীসাধারণ। অপরদিকে রাস্তার উপর দিনের-পর-দিন জমে থাকা ময়লা-আবর্জনায় সৃষ্টি হয় জলজট ও যানজট। জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে জলাবদ্ধতা, মশার উপদ্রব ও দুর্গন্ধে।
সরেজমিন পরিদর্শন করে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা সংস্কারবিহীন কাজের বলির পাঠা হচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসী। সন্ধ্যা হতেই পশ্চিম বাকলিয়া ১৭ নং ওয়ার্ড খালপাড়ের বালিকা স্কুল রোড সহ একাধিক অলিগলিতে নেমে আসে অন্ধকার। সিটি কর্পোরেশনের তদারকি না থাকায় রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের একাধিক বাতি নষ্ট থাকার কারণে এই অন্ধকারে চলাফেরা করতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্থানীয় জনগণ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় সন্ধ্যা হলেই এই সব অন্ধকার গলিতে, খালপাড়ে কিশোর গ্যাং ও ইয়াবাসেবীর জমজমাট আসর জমে উঠে। এলাকার বাসীন্দারা মান-সম্মানের খাতিরে এসব দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যান। মহল্লা কমিটি, ওয়ার্ড কমিশনার ও প্রশাসন কে এইসব ব্যাপারে অবহিত করলে কিছুদিন এসব অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ থাকলেও দীর্ঘমেয়াদী পুলিশ কমিউনিটি চেক না থাকার কারণে পুনরায় এসব কার্যক্রম স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় পুনরায় চালু হয়ে যায়। অপরদিকে রাস্তার লাইটপোস্টের নিচে ময়লার স্তূপ ও ভাসমান ভ্যান গাড়ির উপর সবজি বিক্রেতারা রাস্তা দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার কারণে সৃষ্টি হয় রাস্তায় দীর্ঘ যানজট। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের অনুগত কিশোরগ্যাংদের প্রতি ভাসমান রিক্সা ভ্যান হিসাবে মাসোহারা দিয়ে চলে রাস্তা, ফুটপাত দখল করে এই সব ব্যবসা।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান সরকারি সব ধরনের টেক্স দিয়েও তারা সুস্থ সুন্দর নাগরিক অধিকার নিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে পারছে না।
এই ব্যাপারে সরকারের উচ্চ মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।
Leave a Reply