পটিয়াতে গতকাল ১ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল ৫টায় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চর্চার বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির উদ্যোগে এডভোকেট হরিসাধন দেব ব্রহ্মণ, পুঁথি গবেষক ইসহাক চৌধুরী ও কবি অরুণ দাশগুপ্ত এর স্মরণে ত্রিরতœ স্মরণ অনুষ্টান পটিয়া ক্লাব হলে অনুষ্ঠিত হয়। একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি সঞ্চালনায় ও সাংবাদিক ও গবেষক এসএসএকে জাহাঙ্গীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ যাত্রা শিল্প সমিতির সভাপতি মিলন কান্তি দে, বীরকন্যা প্রীতিলতা ট্রাস্টের সভাপতি পংকজ চক্রবর্ত্তি, সাহিত্য বিশারদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ ছৈয়দ, পটিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া নিউজ ডট কম এর সম্পাদক এটিএম তোহা, পটিয়া উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সস্পাদক মনজুর আহম্মেদ, মাবিলা এন্ড ছৈয়দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এসএম হারুনুর রশিদ, চিত্রশিল্পী হামেদ হাসান, সংগঠক ও সমাজকর্মী আলমগীর আলম, কৃষি উদ্দ্যোক্তা মজিবর রহমান, পটিয়া উপজেলা সংগীত শিল্পী কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল মল্লিক, পটিয়া ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারর্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল উদ্দিন, একাডেমির সদস্য সুকান্ত দাশ, সাকিবুল হাসান, আবদুল আল মোমেন, জয় শীল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, এডভোকেট হরিসাধন দেব ব্রহ্মণ, পুঁথি গবেষক ইসহাক চৌধুরী ও কবি অরুণ দাশগুপ্ত এই তিনজনই পটিয়ার রতœ। পটিয়ার অহংকার। তাঁদের অবদান পটিয়া তথা দেশের মানুষ আজীবন স্মরণ রাখবে। এডভোকেট হরিসাধন দেব ব্রহ্মণ ছিলেন একজন পটিয়াবন্ধু। পটিয়ার যেকোন স্বার্থে তিনি কথা বলতেন। পটিয়ার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। আইনি সহায়তা দিয়ে উপকৃত করেছেন বহু মানুষকে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও দলিল সংরক্ষণ, বধ্যভূমি চিহ্নিতকরণ ও গণহত্যার শিকার জনগণের তালিকা তৈরীর জন্য প্রতিষ্ঠা করেন পটিয়া গৌরব সংসদ। প্রতিষ্ঠিা করেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পটিয়ার আরেক রতœ পুঁথি গবেষক ইসহাক চৌধুরী। বাংলার প্রাচীন লোকসাহিত্য নিয়ে কাজ করে গেছেন আজীবন। তিনি ছিলেন নিরব সাধক, নিভৃত গবেষক ও নির্লোভ গবেষক। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন অমুল্য পুঁথি সংগ্রহের জন্য। তাঁর সংগ্রহিত লোকসাহিত্য তিনি দান করেছেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ও বিভিন্ন গবেষণালয়ে। তাঁর মৃত্যুতে দেশ হারিয়েছে এক কৃর্তিমান গবেষককে। কবি ও সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত চট্টগ্রামের সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের প্রাণপুরুষ ছিলেন।তিনি সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার মদ্য দিয়ে চট্টগ্রামে তৈরি করেছেন বিশাল সাহিত্য অনুরাগী বলয়। সাংবাদিকতা চর্চার মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন অনেক নামিদামী সাংবাদিক। কবিতা, চিত্রকলা,ছোটগল্প, সঙ্গীত ও সাহিত্য সহ সবক্ষেত্রে বিচরণ ছিল অরুণ দাশগুপ্তের। তাঁর মৃত্যুতে স্বজন হারিয়েছে দেশের অগণিত সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা। একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি বলেন, এডভোকেট হরিসাধন দেব ব্রহ্মণ, পুঁথি গবেষক ইসহাক চৌধুরী ও কবি অরুণ দাশগুপ্তরা পটিয়া ক্ষণজন্মা মনিষী। তাঁদের মত গুণীজনদের কদর আমরা এখনো করতে পারিনি। তাঁদের আমরা এখনো উপযুক্ত মর্যাদার আসনে বসাতে পারিনি। তাঁদের কর্মজীবন ও র্কীর্তিগাঁথা প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির মাধ্যমে সবার মাঝে তুলে ধরা হবে। অনুষ্ঠানে এই তিনজন গুণীর কর্ম ও জীবন নিয়ে স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। সেই সাথে তাঁদের পরিবারকে শোক স্মারক উপহার দেওয়া হয়।
Leave a Reply