পলাশ সেনঃ
র্যাব-৭ চট্টগ্রাম বিশেষ সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, আনুমানিক ৯/১০ জন অস্ত্রধারী কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানাধীন পুঁইছড়ি ইউনিয়নের হায়ইদারীঘোনা এলাকার একটি বাগানে একত্রিত হয়ে অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতির জন্য শলাপরামর্শ করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৩ মে ২০২২ খ্রি. থেকে ১৪ মে ২০২২ খ্রি. তারিখ সকাল ০৫৩০ ঘটিকা পর্যন্ত ,র্যাব-৭,চট্রগাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টার একটি বিশেষ অভিযান পিরচালনা করে আসামী ১। মোঃকালু। প্রকাশ গুরা কালু (৪০), পিতা-নুর হোসেন, সাং-পেয়ারাকাটা, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা- কক্সবাজার, ২। মোঃ আজিজুল হক অংক (৪৬), পিতা-মৃত আনসার উল করিম, সাং-করিয়ারদিয়া, থানা-পেকুয়া, জেলা-কক্সবাজার, ৩। সাহাব উদ্দিন (৪৭), পিতা-ইবনে আমিন প্রকাশ ইন্নমিন, সাং-পূর্ব তাবলরচর, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা- কক্সবাজার, ৪। নুরুল বশর (৩২), পিতা-শাহআলম, সাং-দক্ষিন ধুরুং, থানা কুতুবদিয়া, জেলা- কক্সবাজার, ৫। শহিদুল ইসলাম (২৮), পিতা-মৃত আব্দুছ ছালাম, সাং-মাইজঘোনা , থানা-চকরিয়া, জেলা- কক্সবাজার, ৬। নেজাম উদ্দিন (২৯), পিতা-মৃত বখতিয়ার উদ্দিন, সাং-রামপুর, থানা-চকরিয়া, জেলা- কক্সবাজার, ৭। ছলিম উল্লাহ প্রকাশ বাবুল (৫৫), পিতা-মৃত ছদর আহাম্মদ, সাং-পূর্ব তাবলর চর, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা- কক্সবাজার এবং ৮। জিয়াবুল হক জিকু (৫০), পিতামৃত আনছার উল করিম, সাং-ছৈনাম্মার ঘোনা,থানা-চকরিয়া, জেলা- কক্সবাজার’দেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত সকল আসামীদের জ্ঞাতসারে তাদের নিজ হেফাজতে থাকা কোমড় এবং প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে ০৩টি ওয়ান শুটারগান, ০১টি দুনলা বন্দুক, ০৩টি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি এবং ০৫টি দেশীও ধাড়ালো চোরা উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে অকপটে স্বীকার করে যে, তারা কয়েকটি সংঘবদ্ধ চিহ্নিত শীর্ষ জলদস্যু ও ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং বিশেষ করে ধৃত আসামী আজিজ ডাকাত, গুরা কালু এবং ডাকাত সাহাব তিনজন মিলে তিনটি দল পরিচালনা করত। এই কুখ্যাত ও দুর্ধর্ষ জলদস্যুরা বাঁশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়৷ ও মহেশখালী এলাকার সংঘবদ্ধ জলদস্য ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা বর্ণিত স্থানে সমবেত হয়ে ট্রলার যোগে সাগর পথে কুতুবদিয়া চ্যানেলে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য সমবেত হয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এছাড়াও এই দল গুলো দীর্ঘদিন যাবৎ চট্টগ্রামের বাঁশখালীসহ কক্সবাজার জেলার পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী থানা এলাকাসহ সাগর পথে বিভিন্ন চ্যানেলে ডাকাতি করে আসছে। উল্লেখ্য যে, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিষয়াক্ত অপরাধের কারনে তাদের প্রত্যেকের নামে ৮/১০টি করে মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্ত করা হয়েছে।
Leave a Reply