
নাছির উদ্দিন শিবলু ,সীতাকুন্ডঃ
ছাত্র জীবন শেষ হতে কর্মজীবনে পা বাড়ান। জীবনকে একান্তা নিজের মতো করে গড়তে পরিবহন সেক্টরের যুক্ত হন। কর্মজীবনে নামতে বহু কটখাড় পুড়াতে হয়। শ্রমিকদের সুখে-দুখে পাশে দাড়িঁয়ে কর্মজীবনে সফল হয়ে উঠেন। যে কোনোপরিস্থিতিতে শ্রমিকদেও কল্যানে সবার আগে এগিয়ে থাকায় সর্বজন প্রিয় হয়ে উঠেন। পরবর্তীতে পছন্দের মানুষ হয়ে উঠায় নেতৃত্বের আসিন করেন শ্রমিকরা। দীর্ঘ ৩০ বছর শ্রমিকদের দাবী আদায়ে বলিষ্ট ভূমিকা রেখে রাজপথে লড়ায়ে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিক নেতা এস এম জুয়েল।
তিনি বলেন,‘ চট্টগ্রামে সদ্বীপ উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত পরিবারেরর জন্ম নেন। পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা পোষ্ট মাস্টার দায়ীত্ব পালনে চাকুরি জীবনের সমাপ্তি ঘটিয়ে ব্যবসায় শেষ সময় পার করেন। দাদা আজিজুর রহমান দীর্ঘ বছর সন্তোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে জনসেবা করে ছিলেন। পারিবারিকভাবে সেবার মানসিকতা থেকে শ্রমিক পরিবহনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। ১৯৯৩ সালে সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পাস করার পর ১৯৯৫ সালে মিরশ্বরায় উপজেলার নিজামপুর কলেজ হতে এসএসসি শেষে শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি ঘটিয়ে কর্ম জীবনে নেমে যায়। পরিবহন শ্রমিক থেকে গাড়ি মালিক হয়ে শ্রমিকদের নেতৃত্ব দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন,‘ নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বহু ঝঁড় তুফান মোকাবেলা করতে হয়েছে। অসুস্থ, অসহায়, বিপদগ্রস্ত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে সড়ক পথের সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেছি। সড়ক- জনপদের ৮ ও ১৭ নং রোড়ে শ্রমিক সংগঠনের দীর্ঘদিন সাধারন সম্পাদকের দায়ীত্ব পালনের পর বর্তমানে সভাপতি পালন করছি। তাই জীবনের শেষ সময় টুকু শ্রমিকদের পাশে কাটাতে কেন্দ্রিয় কার্যকরি পরিষদের সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করছি। আমার দ্বারা শ্রমিকদের উপকার হয়ে থাকলে আগামী ১৪ ডিসেম্বার অনুষ্ঠিতব্য ভোটে বিজয় লাভ করব ইনশাল্লা।
আগামী ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনকে ঘিরে পরিবহন সরগ-গরম হয়ে উঠেছে পরিবহন সেক্টর। চায়ের কপের প্রতি চুমুকে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনায় মত্ত মালিক-শ্রমিকরা। আনন্দে আড্ডায় ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীর আলাপাচারীতায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ভোটাররা বলেন,‘ শ্রমিকদের সুখে-দুখে যারা পাশে থাকবে তাদের বেছে নেয়া হবে। উড়ি আই জুড়ি বইতে চাওয়ার সুযোগ নেই। পরিবহন সেক্টরে বহু মানুষ আসছে-গেছে। কিন্তু জুয়েল ভাইসহ আরও কয়েকজন লোক পরিবহন শ্রমিকদের দুরবস্থায় সব সময় লড়ায় করে গেছেন বলে জানান তারা।
Leave a Reply