মোহাম্মাদ আলবিন,আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২১ সালের আজকের দিনে ত্যাগী এই বিএনপি নেতা দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছিলেন।
সাবেক এই নেতা ১৯৮৯ সালের ২৯ মে ফারাক্কা অভিমুখে মিছিল করে ছিলেন। পরে ১ নভেম্বর ৭ দলীয় জোট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গুলিস্তানে ১০ ঘন্টা প্রতীক অনশন করে ছিলেন।
১৯৯৯ সালের ১৯ মার্চ দেশ নেত্রী খালেদা জিয়া দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আনোয়ারাতে ছাত্র রাজনীতির ভালো অবস্থানে ছিলেন। তিনি একাধারে আনোয়ারা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক , কলেজ সংসদের নির্বাচিত বি এন পির মনোনীত একমাত্র ধর্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য সেই কমিটিতে বি এন পির তথা ছাত্রদলের আর কেউ জয় পাইনি। পরে তিনি আনোয়ারা থানা ছাত্রদলের সভাপতি, পরে জেলার সহ-সভাপতি হন।
এরপর থেকেই তার পরবর্তী জীবন কাটে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ও হামলার মধ্য দিয়ে। কিন্তু তার একটায় নীতি ছিলো, কারো ক্ষতি না করা, সবার বিপদে এগিয়ে যাওয়া।পরবর্তীতে ১৯৯৬ এর পর এই তুখোড় ছাত্রনেতাকে আর দেশে থাকতে দেওয়া হয় নি। ফলে তিনি বিদেশে চলে যেতে বাধ্য হন।
২০০১ সালে বিএনপি দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে ও সুযোগ সন্ধানীদের ভিড়ে এসব ত্যাগী নেতাদের আর মূল্যায়ন করা হয়নি। এরপর তিনি ২০১৪ সালে আবার দেশে আসেন। এর পরও বিভিন্ন নির্যাতন আর মামলা-হামলায় দিন যায় তার। তারপরও তিনি শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। তারপর তিনি ২০১৮ সালের আগে আনোয়ারা উপজেলা বি এন পির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার সাংগঠনিক দক্ষতার কারনে তিনি তখন তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসার কবলে পড়েন। পরবর্তী তার জীবন আর শান্তি ছিলো না। সাথে তার পরিবারে নেমে আসে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আগুন। ২০১৮ সালে তিনি র্যাব এর অভিযানের ঘরে থাকতে পারে নি। সেসময় চলে তাদের সম্মান আর ব্যক্তিত নিয়ে টানাটানি।
২০২১ সালে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে গেলে ও সুস্থ হতে পারেননি আর। শত কষ্ট অভিমান নিয়ে ২০২১ সালের এই দিনের সকালে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেন।
Leave a Reply