1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আনোয়ারা–কর্ণফুলী নির্বাচন অফিসে ৬ ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কর্মবিরতি: সেবাগ্রহীতাদের দুর্ভোগ এক উপজেলায় ৩০০-র বেশি ‘সাংবাদিক’, চাঁদাবাজির হাতিয়ার প্রেস কার্ড জোসেফের আলোয় আলোকময় গিটার সন্ধ্যা সম্পন্ন চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলায় এপেক্স বাংলাদেশের ব্যাপক সেবা কার্যক্রম—বার্ষিক SMART রিপোর্ট প্রকাশ শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে নানিয়ারচর জোন (১৭ই বেংগল) এর উদ্যোগে বিনামূল্যে শীতবস্ত্র বিতরণ সুস্থতার জন্য বার্তা রাজনীতির উর্ধ্বে মানবিকবোধ ও সৌজন্যতার প্রকাশ -ব‍্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন ধর্ষণ মামলার পলাতক শাহীন ঢাকায় নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার: র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১ এর যৌথ অভিযানে অবসান রহস্যের চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয়: শ্রম উপদেষ্টা এক কোটি টাকার ডাকাতি: দাগনভূঁইয়ার পলাতক ইমন অবশেষে র‍্যাবের জালে সিএমপি কমিশনারের সভাপতিত্বে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের নির্বাহী বৈঠক অনুষ্ঠিত

আনোয়ারা–কর্ণফুলী নির্বাচন অফিসে ৬ ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কর্মবিরতি: সেবাগ্রহীতাদের দুর্ভোগ

  • সময় মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৩৪ পঠিত

মোহাম্মদ আলবিন (চট্টগ্রাম)আনোয়ারা

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় পরিচালিত আইডিইএ (Identification System for Enhancing Access to Services) প্রকল্পের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের চাকরি আত্মীকরণ দীর্ঘদিন অনিশ্চয়তায় থাকায় অবশেষে কর্মবিরতিতে গেছেন প্রকল্পভুক্ত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এর প্রভাবে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচন অফিসে নতুন ভোটার নিবন্ধন, তথ্য সংশোধন, স্মার্টকার্ড বিতরণসহ এনআইডি–সংক্রান্ত সব কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরুর পর থেকেই সেবা নিতে আসা মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। সকালে অফিসের সামনে ভিড় দেখা গেলেও কাউন্টার ছিল সম্পূর্ণ অচল। কর্মকর্তারা অফিসে উপস্থিত থাকলেও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চাকরি স্থায়ীকরণের এক দফা দাবিতে তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মবিরতি পালন করছেন।

কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা–কর্মচারীরা জানান, ২০০৭–০৮ সালে পিইআরপি ও ফিনডিক প্রকল্পের আওতায় ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রস্তুত ও বায়োমেট্রিক ডাটাবেজ গঠনের কাজ তারা সফলভাবে সম্পন্ন করেন। এরপর থেকে এনআইডি সার্ভার রক্ষণাবেক্ষণ, নতুন ভোটার নিবন্ধন, তথ্য সংশোধন, স্মার্টকার্ড বিতরণসহ সব প্রযুক্তিনির্ভর কাজ দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করছেন তারা। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও স্থায়ী নিয়োগ না পাওয়ায় তারা অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।

এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা বহু বছর ধরে দক্ষতার সাথে কাজ করছি। এখন নতুন জনবল নিয়োগ দিলে পুরো ব্যবস্থাপনাই আবার নতুন করে সাজাতে হবে, যা অকার্যকর এবং সেবায় বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।”

২০২৪ সালের ২১ আগস্ট মানববন্ধনের পরও আশ্বাস দিলেও এক বছরের বেশি সময় পার হয়েছে—চাকরি আত্মীকরণ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানান তারা। প্রকল্পের মেয়াদ মাত্র এক বছর বাকি। তাদের দাবি—এভাবে প্রকল্প শেষ হলে বেশিরভাগ কর্মচারী চাকরির বয়সসীমা পেরিয়ে বেকার হয়ে যাবেন।

এদিকে সেবা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
স্মার্টকার্ড সংশোধনের জন্য আসা মো. ইমন বলেন, “জরুরি কাজে এসেছি। কার্ড ঠিক না হলে চাকরিও ঝুঁকিতে পড়বে। কিন্তু কর্মবিরতির কারণে কিছুই করতে পারছি না।”

প্রবাসে যাওয়ার প্রস্তুতিতে থাকা এক যুবক জানান, “পাসপোর্ট রিনিউ করতে এনআইডি খুব জরুরি। কিন্তু শুনলাম কর্মকর্তারা কর্মবিরতিতে—আমরা বিপাকে পড়েছি।”

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ ছালেহ ও কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাহিদা বিনতে আশরাফ বলেন, কর্মকর্তা–কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে থাকায় সাময়িকভাবে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তবে এটি সচিবালয়ের বিষয়—জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে তাদের কিছু করার নেই।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট