1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পটিয়াতে কবি মিনার মনসুরকে নিয়ে প্রত্যয়ের বিশেষ আয়োজন ‘মিনার মনসুর সকাল রোদ্দুর’ এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন পল্লবী থানা শাখা কমিটি অনুমোদিত। গরমে স্বস্তি দিতে ফ্রি বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বাকলিয়ায় ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড ডেন্টাল কেয়ারের যাত্রা তৃতীয় ধাপে পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৫ শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এপেক্স ক্লাব অব পটিয়ার উদ্যোগে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগে চট্টগ্রাম,নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৬,এর আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এ জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসা মহানগর পর্যায়ে ০৫ টি ইভেন্টে সাফল্য “শ্রমিকদের দাবী” রচনায়ঃ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব) নেত্রজল সাহিত্য ম্যাগাজিন পত্রিকার নবগঠিত উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন

আহমদি রহমানী বেলায়তের তেজোদ্দীপ্ত প্রকাশ মহিমাপূর্ণ ভাস্বর – লায়ন ডা. বরুণ কুমার আচার্য

  • সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৯৪ পঠিত

আসন্ন মহান ১৪ই মাঘ শাহানশাহ হযরত শাহসূফি সৈয়দ মোহাম্মদ শাহাজাহান চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী (ক.) কেবলা কাবার পবিত্র খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে প্রবন্ধ

আহমদি রহমানী বেলায়তের তেজোদ্দীপ্ত প্রকাশ মহিমাপূর্ণ ভাস্বর

আল্লাহর রাসুলের (সা.) পবিত্র রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধিকারী হয়ে হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর (ক.) পবিত্র বংশে জন্মগ্রহণ করেন মজ্জুবে ছালেক হযরত মাওলানা শাহসূফি সৈয়দ মোহাম্মদ শাহাজাহান চৌধুরী মাইজভান্ডারী (ক.)। তাঁর আম্মাজান সুলতানে সালতানাত, অছিয়ে গাউছুল আজম হযরত মাওলানা শাহসূফি সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভাণ্ডারীর (ক.) প্রথমা কন্যা শাহজাদী সৈয়দা মোবাশ্বেরা বেগম (র.) এবং আব্বাজান হযরত আবদুল মজিদ চৌধুরী (র.)। জন্মের পরপরই প্রিয় দৌহিত্রকে কোলে নেন নানাজান অছিয়ে গাউছুল আজম এবং দৌহিত্রের ভবিষ্যৎ আধ্যাত্মিক অবস্থান ইঙ্গিত করেন। জন্মের সময় তাঁর সম্মানিতা আম্মাজানের সেবা করেন বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত শাহসূফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী(ক.) স্বয়ং। বিশ্বঅলি শাহানশাহ হক ভান্ডারী (ক.) সম্পর্কে তাঁর বড় মামা এবং এ মামাজানের সঙ্গেই তাঁর আধ্যাত্মিক সম্পর্ক। ছোট থেকেই মামা শাহানশাহর পবিত্র সংস্পর্শে থাকতেন। বিশ্বঅলির আধ্যাত্মিক প্রভাবে তাঁর মধ্যে অনন্যতা পরিলক্ষিত হয়। অন্য দশজনের চেয়ে স্বভাবতই ছিলেন একটু আলাদা। একে রক্তে বহমান পবিত্রতা পাশাপাশি অবর্ণনীয় সাধনায় লব্ধ যোগ্যতাবলে, মহান স্রষ্টার ইচ্ছায় ধীরে ধীরে তাঁর আধ্যাত্মিক অবস্থার প্রকাশ শুরু হয়। মামাজানের মতো কঠিন রেয়াজতে অনেক সময় পার করতেন। যোগ্যতাবলে মামাজানের “বিশ্বঅলি, শাহানশাহ” সম্পূর্ণ গুণ নিজের মধ্যে আয়ত্ব করে ফানাফিশ শায়খ, ফানা ফিল্লাহ, বাকা বিল্লাহ হয়ে নিজেকেও “বিশ্বঅলি, শাহানশাহ” বলে পরিচয় দেন। ভক্তদের অনেককে শাহানশাহ বাবাজান তাঁর মামা সাহেবের নিকট যেতে আদেশ দিতেন। ভাগিনা সৈয়দ মোহাম্মদ শাহাজাহান চৌধুরীকে তিনি “মামু সাব” (মামা সাহেব) বলে সম্বোধন করতেন। শাহানশাহ হক ভাণ্ডারীর(ক.) পূর্ণ গুণধর হয়ে তাঁরই অনুরূপ অবিকল বৈশিষ্ট্যধারী বাবাজান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহাজাহান চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী (ক.)। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য তাঁর ব্যাপারে বলা শাহানশাহ বাবাজানের পুত্র রাহবারে আলম মাওলা হুজুর শাহজাদা সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারীর (মা.জি.আ) পবিত্র উক্তি “যাকে দেখলে বিশ্বঅলি শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী কেবলা কাবার কথা স্মরণ হতো।”
তিনি এমন একজন আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ যার প্রতি কর্মে অলৌকিকতা প্রদীপ্ত হতো। তাঁর প্রতিটি কর্মই রহস্যঘেরা, দুর্বোধ্য ও দারুণ কৌতূহলোদ্দীপক। প্রত্যেক গতিবিধিই অলৌকিকতাপূর্ণ।
আল্লাহর অলিগণ সৃষ্টিজগতের কল্যাণে সর্বদা স্রষ্টার করুণা বিলিয়ে থাকেন। যার দরুণ তাঁদের দরবারে দিনরাত মানুষ নানা ধরনের মনোবাঞ্চা নিয়ে উপস্থিত হন। আদব-ভক্তিসহ তাঁদের মনোবাসনা আরজি জানান এবং আল্লাহর অলিগণ তাঁদের কল্যাণ অনুযায়ী সে আকাঙ্খা পূরণ করে থাকেন। বাবাজানের নিকট সে আশায় কল্যাণ প্রত্যাশী অসংখ্য মানুষ প্রতিটি মুহূর্ত ভিড় জমিয়ে রাখতেন। বেছাল শরীফের পর রওজা পাকে এসে তাঁদের আবেদন জানাচ্ছেন। বেছাল গ্রহণ পরবর্তী আল্লাহর অলিগণের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা ভিন্নতর হয়, পূর্বের তুলনায় অধিক গুণে প্রসারিত হয়ে যায়। তাঁর মহাশক্তির পরিচয় পাওয়া যায় প্রদত্ত একটি বাণী হতে। “আসমান-জমিন, ডান-বাম, উত্তম-মধ্যম সবই এক নজরে দেখাতে পারি,দিতে পারি, আল্লাহ এবং রাসুল(সা.) এর ইচ্ছাতে।” অধ্যাত্ম জ্ঞানে জ্ঞানীমাত্রই বুঝে নিতে পারবেন আধ্যাত্মিক জগতের এ বাণী উচ্চস্তরের নির্দেশমূলক। গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী(ক.) একদা তাঁর ভ্রাতা হযরত সৈয়দ আবদুল হামিদ সাহেবকে (ক.) বলেছিলেন, “তুমি একবার আমার চাদরের নিচে এসে দেখ। আসমান-জমিন,আরশ-কুরসি, লৌহ-কলম, বেহেশত-দোযখ তোমাকে এক পলকে দেখিয়ে আনি।” যা ছায়র ইলাল্লাহ, ছায়র ফিল্লাহ ও ছায়র মা’য়াল্লাহ এই ত্রিবিধ ছায়রে রূহানীতে শক্তি সম্পন্নতার পরিচায়ক। একই রকম ব্যাপার শাহসূফি সৈয়দ মোহাম্মদ শাহাজাহান চৌধুরী মাইজভাণ্ডারীর (ক.) বাণীতেও প্রদীপ্ত হয়েছে। এরূপ তিন প্রকার ছায়রে রূহানীতে সমর্থ অলিই শ্রেষ্ঠত্বের আসন অলঙ্কৃত করেন। এমন মহান সত্ত্বা প্রসঙ্গে লিখতে থাকলে কলেবর বৃদ্ধি হবে তবে লিখে শেষ করতে পারা যাবে না।

তাঁর নানাজান প্রায়শই বলতেন, “আমাকে দুই ভেব না, দুই দেখ না, আমার নিজের কোনো হাস্তি নাই। আমার মৃত্যুর পর আলাদাভাবে আমার কোনো ফাতেহা করো না।” এই দ্বৈততা না দেখতে বলেছেন স্বীয় দাদাজান হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর (ক.) সাথে। তিনি তাঁর দাদাজানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এক সত্ত্বায় পরিণত, ভিন্ন কেউ নন। অছিয়ে গাউছুল আজমের জ্যৈষ্ঠ কন্যা, শাহানশাহ সৈয়দ মোহাম্মদ শাহাজাহান চৌধুরীর (ক.) আম্মাজান শাহজাদী সৈয়দা মোবাশ্বেরা বেগম (র.) পিতাকে প্রশ্ন করেছিলেন কেন তাঁকে প্রতিকূল স্থানে [উক্ত স্থানটি যেহেতু আউলিয়া বিদ্বেষীদের অধ্যুষিত] বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উত্তরে পিতা বলেছিলেন নিজ ইচ্ছায় তিনি তাঁকে সেখানে বিয়ে দেন নি। হযরত কেবলা এবং বাবাজান কেবলা আদেশ করেছেন তাঁকে যেন এ স্থানে অর্থাৎ শাহনগরের উক্ত পরিবারে বিয়ে দেওয়া হয়। হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী এখান থেকে গাউছিয়তের ফুল প্রস্ফুটিত করবেন। এটাই ঐশী সিদ্ধান্ত। কাল পরিক্রমায় তাই হয়েছে। গাউছিয়তের স্বমহিমায়, পুষ্প শাহানশাহ সৈয়দ মোহাম্মদ শাহাজাহান চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী (ক.) বিকশিত হয়েছেন। সৌরভ ছড়িয়ে আকুল করছেন।
গাউছিয়তের এতৎ অতুল্য গুণধর পুষ্পের জন্যও সৃষ্টিকর্তা তাঁর মিলন দিবস নির্ধারণ করেছেন পূর্বপুরুষের অনুরূপ। তাঁর নানাজান বলতেন হযরত কেবলা কাবা হতে তাঁকে ভিন্ন জ্ঞান না করতে, আলাদা কোনো ফাতেহা না করতে। অর্থাৎ ওফাত দিবসের আলাদা কার্যক্রম করতে বারণ করেছেন। প্রিয়তম দৌহিত্রের ক্ষেত্রেও ব্যত্যয় ঘটেনি। মহান ১০ই মাঘে খাতেমুল আউলিয়া হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী (ক.) নশ্বর ইহজগৎ হতে আড়াল হয়েছিলেন। ১১৭ বছর পর ঠিক একই তারিখে রজনীর প্রায় শেষ প্রহরে গাউছিয়তের পবিত্র মহাজাত উদ্ভুত সত্ত্বা শাহানশাহ হযরত শাহসূফি সৈয়দ মোহাম্মদ শাহাজাহান চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী (ক.) বেছালে হাকীকী গ্রহণ করেন। মহান ১০ই মাঘের ঐতিহ

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট