মোঃ কায়সার চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
সারা দেশে ভূমি অফিস মানে হচ্ছে অনিয়ম দুর্নীতির আখড়া, সরকারি সেবা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ কোন না কোনভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছ প্রতি নিয়ত। এরমধ্যে পটিয়া ভূমি অফিসের একটা পুরানো ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভিডিওটির সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে পুরো বিষয়টি ভিন্ন চিত্র ধরা পড়েছে। ভূমি অফিসের একটি দালাল চক্র পরিকল্পিতভাবে অফিস স্টাফদের চাপে রাখাতে এ ভিডিও এডিট করে ছড়িয়ে দিয়েছে বলে জানায়। ঐ চক্রটি দীর্ঘদিন ভুমি অফিসের কর্মকর্তাদের চাপে রেখে নামজারি কাজ আদায় সহ সপ্তাহ ও
মাসোহারা আদায় করার একটি কৌশল বলে মন্তব্য করেনন এলাকার লোকজন। চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের পেশকার সুদীপ্ত দাশের টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন বিব্রত অবস্থায় পড়ে যায়। ভিডিওটির বাস্তবতা হলো সরকারি খাস জমির খাজনার টাকা নেয়ার ভিডিও প্রকৃত পক্ষে এ ভিডিওর সূত্র ধরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মো, সাদি উর রহীম জাদিদ স্বাক্ষরতি এক পত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত হয়। ভিডিওতে যার ছবি এবং টাকা দেয়া ব্যক্তি উপজেলার পাচরিয়া এলাকার সুমন নামের এক যুবকের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। ভিডিওর অভিযোগ অনৈতিক লেনদের বিষয়টি প্রমানিত হয়নি। তিন মাস আগের মাত্র ৪ সেকেন্ডের ভিডিও আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এডট করে ছড়িয়ে দেয়। গত ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) প্লাবন কুমার বিশ্বাস বদলী হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও সার্কেল ভূমি অফিসে চলে যান। ডিডিওতে থাকা উপজেলার পাচরিয়া এলাকার সুমন বলেন, ভিডিওটি অনেক আগের ভিডিও প্রকাশ করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ভূমি অফিসের কিছু দালাল চাঁদা দাবি করে আসছিল। খাজনা বাবদ ১ হাজার টাকা দিলেও উনি সরকারি খরচ বাবদ রশীদমূলে নিয়ে বাকী টাকা আমাকে ফেরত দিয়েছিল ফেরত দেয়ার ভিডিওটি কেটে দেয়া হয়েছে। উনি আমার কাছ থেকে জোর করে কোন টাকা দাবি করেনি আমিও অতিরিক্ত টাকা দিই নাই, আমার অজান্তে গোপনে কে বা কারা ভিডিও করে সামাজকি যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। মূলত ভূমি অফিসের সুদিপ্ত সাহেবের কোন দোষ নেই উনি ভালো এবং সৎ মানুষ, উনি আন্তরিকভাবে সবাইকেজ সেবা দেয়ার চেষ্ঠা করেন, উনার জন্য যেখানে যেটা বলা দরকার আমি বলব, এ বিষয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই আমি কোন জায়গায় অভিযোগও করিনি। এ ভিডিডিও দেখিয়ে আমাকে অনেক দিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছে আমি নাকি ভূমি অফিসে ঢুকতে পারব না, টাকা দিয়ে ভূমি অফিসে ঢুকতে হবে বলে তারা হূমকি দিচ্ছে।
ভিডিও ভাইরাল প্রসঙ্গে সুদীপ্ত দাশ বলেন, টাকাগুলো লীজ নবায়নের সরকারি ফি। সুমনের কাছ থেকে গুণে নিচ্ছিলাম। সরকারি লীজ নবায়নের ফি নেয়াটা যদি অপরাধ হয়ে থাকে আমরা কাজ করব কিভাবে মূলত এটা অনেক আগের ভিডিও এ সংক্রান্ত একজন অভিযোগ করলেও বিষয়টি মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। মিথ্যা প্রমানিত হওয়ার পর ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত আক্রমন করার চেষ্ঠা করা হচ্ছে এগুলো করে আমাদের ভয় দেখাচ্ছে মূলত। দালাল চক্র আমাদেও কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে আসছে, দালাল চক্রটি টাকার বিনিময়ে কাজ দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে বিয়ষটি আমরা জানার পর দালাল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এসিল্যা- স্যার এবং উনি স্যারের উপর। এসিল্যান্ড স্যারের বিরুদ্ধেও তারা বিভিন্ন সময় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার চেষ্ঠা করেছে উনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরেছিল ষড়যন্ত্রেও বিষয়টি।
এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরহানুর রহমান বলেন, এক সময়ে পটিয়া ভূমি অফিস দালাল চক্রের হাতে জিম্মি ছিল, আমি আসার পর দালালমুক্ত করছি যাতে কোন মানুষ হয়রানি না হয়। ভিডিওটি কয়েকদিন আগে আমার কাছে আসছিল ভিডিওর ছবিতে যে ব্যক্তিকে দেখা যা্চ্েছ উনাকে এবং ভূমি অফিসের স্টাফ উনাকে ডাকা হয়েছিল তারা উভয়ে স্বীকার করেছে লীজ নবায়নের টাকা এটাকে এডিট করে দেয়া হয়েছে সেখানে ভূমি অফেসের ছেলেটার কোন দোষ প্রমানিত হয়নি, বিভিন্নভাবে খবর নিয়েছি ছেলেটা সৎ এবং ভদ্র ছেলে বলে সবাই আমাকে জানিয়েছে।
Leave a Reply