1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীকে চট্টগ্রাম- দোহাজারী – কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান। বৃহওর চট্টগ্রামে আগামীকাল সকাল ৬ টা থেকে ৪৮ ঘন্টা গণপরিবহন ধর্মঘট আহ্বান হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই ছবি-ভিডিও পাঠাবেন যেভাবে এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারের মাঝে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান। তীব্র তাপদাহে তৃষ্ণার্ত পথচারীদের মাঝে ওয়াহিদুল আলম ওয়াহিদের ঠান্ডা পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ “তাপদাহের জ্বালা” রচনায়ঃ মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম (খাজা হাবীব ) চমেক হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন চট্টগ্রাম নগরীর সিএমপির ইপিজেড থানা পুলিশের অভিযানে (১০) জন, জুয়াড়ি গ্রেফতার। মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়ায় ইউপি সদস্যর জমি গভীর রাতে দখল ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো ১৪২ দেশ, সর্বশেষ জ্যামাইকা

কে এই চট্রলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী আজকের প্রজন্মকে জানতে হবে -তসলিম উদ্দীন রানা

  • সময় সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৪৪ পঠিত

মৃত্যুঞ্জয়ী বীর কিংবদন্তি জননেতা এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী (জন্ম: ১ ডিসেম্বর,১৯৪৪ -মৃত্যু ১৫ ডিসেম্বর,২০১৭ চট্টগ্রাম ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ ও চট্টলবীরের নাম।মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,৭৫ এর পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদকারী,বলিষ্ঠ শ্রমিক সংগঠক,বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও গণমানুষের নেতা।
চট্রগ্রাম সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস,মহানগর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি,কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য,চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি,চট্রগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। চট্রগ্রাম গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি লিডার ও বিজয় মেলার চেয়ারম্যান ছাড়া বহু সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।আওয়ামী রাজনীতির সোনালী অতীত ও চট্রলার কিংবদন্তি জননেতা ছিলেন।তিনি সমগ্র বাংলায় চট্রলবীর হিসেবে পরিচিত। মহান মুক্তিযুদ্ধের নায়ক ছিলেন ও চট্রগ্রাম গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি লিডার ও আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন।

তিনি ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র নির্বাচিত হন। পরপর তিনবার নির্বাচিত মেয়র ছিলেন।২০০৫ সালের মেয়র নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন মন্ত্রীকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। পাশাপাশি প্রতিপক্ষের তুলনায় ভোটের ব্যবধানও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।চট্রগ্রামের মানুষের অতি আপন ছিলেন।চট্রগ্রামের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্রের সাথে তিনি কখনো আপোষ করেনি। তিনি চট্টগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল।তার অসম্ভব সাহস ও দক্ষতার জন্য সারা বাংলায় একনামে পরিচিত ছিলেন।বাংলাদেশের সব গগণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান অতুলনীয় ও অনস্বীকার্য।

উনি সেই মহিউদ্দিন,১৯৮১ সালে নেত্রী যখন দেশে আসলেন তখন সবাই বাকশাল নিয়ে ব্যস্ত।এমনকি পার্টি অফিসও বেদখল,তালা মারা।ঢুকতে পারছেন না। তখন এই মহিউদ্দিনই চট্টগ্রাম থেকে দলবল লাঠিসোটা নিয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পার্টি অফিসের তালা ভেঙে অফিস দখল করেছিলেন এবং নেত্রীকে অফিস বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।

উনি সেই মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু যখন চট্টগ্রামে আসতেন ট্রেন থেকে নেমে প্রথমে জিজ্ঞেস করতেন,আমার মহিউদ্দিন কই?

উনি সেই মহিউদ্দিন,বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর সব নেতা যখন আত্নগোপনে উনি তখন মৌলভী ছৈয়দ,ফণীভূষণ,এস এম ইউসুফ সহ ওনার দলবল নিয়ে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে মোস্তাক সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিবাদ সংগ্রাম করেছিলেন। চট্টগ্রাম শহরের রাস্তায় রাস্তায় গ্রেনেড চার্জ করা তো তাদের নিত্যদিনের কাজ। আজকের এই ছাত্রলীগ নেতারা আপনারা মনে হয় মৌলভী ছৈয়দ,এস এম ইউসুফ,ফণীভূষণ,ইউনুস,সৈয়দ মাহামুদুল হক সহ ওনাদের কে চিনেন বলে মনে হয় না।নামই শোনেননি মনে হয়! অথচ ওনাদের সব্বোর্চ ত্যাগের বিনিময়ে আজকের চট্টগ্রাম ছাত্রলীগ,যুবলীগ,আওয়ামীলীগ।

আওয়ামী রাজনীতির কঠিন দুঃসময়ে ৭৫ এর পরবর্তী তার অবদান অনস্বীকার্য ও অতুলনীয়।মহান মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমাণ্ডার ছিলেন।
১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যার পরে তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করা হয়।এসময়ে তিনি ছদ্মনাম দিয়ে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেন।খন্দকার মোসতাক,জিয়ার স্বৈরচ্ছারী,স্বৈরচ্ছারীএরশাদ,স্বৈরচ্ছারিনী খালেদা জিয়া ও সর্বশেষ মমঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীন অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে একমাত্র ব্যক্তি যিনি অসম্ভব সাহসীকতার সাথে আপোষহীন ভাবে কাজ করে যান।খেয়ে না খেয়ে,দিনের পর দিন হুলিয়া মাথায় নিয়ে নির্ঘুম কাটিয়ে দলের জন্য কাজ করেছেন যা ইতিহাসের সাক্ষ্য।সেই সময় সুবিধাভোগীরা ক্ষমতার জন্য নতুন সরকারের সাথে আতাত করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় আর কিছু লোক দেশান্তরী হয়।জননেতা বীর মহিউদ্দিন ছিলেন একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ও বঙ্গবন্ধুপ্রেমিক নেতা।যার কোন সময়ে ক্ষমতার লোভ ছিল না।দল ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার অসম দরদ ছিল বলে কারো সাথে কোনদিন আপোষ করেনি।

উনি সেই মহিউদ্দিন, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি ক্যাম্পে শত নির্যাতনের মুখেও নতি স্বীকার করেননি। নির্যাতনের সময় পিপাসায় পাকিস্তানি মেজরের কাছে যখন পানি চেয়েছিলেন তখন ঐ পাকি মেজর বোতলে করে নিজের প্রস্রাব দিয়েছিলেন।ঐ পরিস্থিতি আপনারা কল্পনা করতে পারেন? তবুও মহিউদ্দিন মুখ খোলেন নি।

৭৬ কি ৭৭ সালে সামরিক সরকারের হাতে গ্রেফতার হয়ে যান। ছয় মাস পর মুক্তি পেয়ে দেখেন সঙ্গী-সাথীরা সবাই ভারতে আত্নগোপনে।তিনিও ভারত গিয়ে সবার সাথে যোগ দেন। ঐ সময়ে ভারতেও রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়।বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে তাদের। নেতা হিসেবে সহকর্মীদের থাকা-খাওয়ার দায়িত্ব এসে পড়ে মহিউদ্দিনের উপর। কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনে পত্রিকা বিক্রি শুরু করেন মহিউদ্দিন। সেটা জানাজানি হয়ে গেলে পেশা পরিবর্তন করেন তিনি। সাঙ্গু ভ্যালি নামে একটি রেস্টুরেন্টে বয় হিসেবে চাকুরি নেন। পাশাপাশি আরেকটি হোটেলে ভাত রান্নার চাকুরি নেন। কিন্তু মহিউদ্দিন মুসলমান হওয়ায় তার রান্না করা ভাত খেতে আপত্তি ছিল অনেকের। ব্রাক্ষ্মণ সেজে আরেকটি হোটেলে ভাত রান্নার কাজ নেন মহিউদ্দিন। এরপর পরিচয় গোপন করে মহিউদ্দিন, অমল মিত্র, অমলেন্দু সরকারসহ কয়েকজন মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের সাব-কন্ট্রাক্টরের অধীনে আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ নেন। মোটর ওয়ার্কশপেও কাজ করেন কিছুদিন। উনি চাইলে হয়ত এসব এড়িয়ে যেতে পারতেন।কিন্তু নেতাকর্মীদের ভালবাসা দায়িত্ববোধ এড়াতে পারেননি বিবেকের কারণে,সংগঠনের প্রতি ভালবাসার কারণে। আজকে আমরা সেই মহিউদ্দিন কে খুনী বলে স্লোগান দিই। এতটাই অকৃতজ্ঞ আমরা ৭৮ সালে মৌলভী সৈয়দ দেশে ফেরার সময় সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যান। তাকে নির্মমভাবে গুলি করে খুন করা হয়। ফিরতে গিয়ে অমল মিত্র গ্রেপ্তার হন। হুলিয়া মাথায় নিয়ে ৭৯ সালের দিকে গোপনে দেশে ফেরেন মহিউদ্দিন।

জিয়া সরকার শুরু থেকেই তাদের প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নিয়ে সেনাবাহিনী লেলিয়ে দেন।এর মধ্যেই একদিন ছদ্মবেশে মহিউদ্দিন যান টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে। মাজার বলতে কিছু ছিল না। বাঁশের সীমানাও ভালোভাবে ছিল না। যখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়, তখন উনি চট্টগ্রাম থেকে নির্মাণ শ্রমিক নিয়ে যান। গোপালগঞ্জ তো তখন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো ছিল। ফরিদপুর থেকে ইট আর সিমেন্ট সংগ্রহ করেন। বঙ্গবন্ধুর কবর ঘিরে পাকা দেয়াল তুলে দেন। দক্ষিণ কাট্টলী থেকে শ্বেতপাথরে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ লিখে নিয়ে সেটা কবরে লাগিয়ে দেন। আমরা সেই মহিউদ্দিন কে খুনী বলি !!!

আচ্ছা আপনাদের কি ৯১ এর ঘুর্ণিঝড়ের কথা মনে আছে? বন্দরটিলায় তখন লাশের পর লাশ।লাশপচাঁ গন্ধে বাতাস তখন ভারী। চট্টগ্রামের অন্যন্যা নেতারা যখন নাকে রুমাল বেধে মায়াকান্নায় ব্যস্ত তখন একমাত্র উনিই কোমর বেধে একের পর এক লাশ দাফন করেছেন।পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইনামুল হক দানু যখন মারা যান তখন উনি নিজ হাতে দানু ভাইকে গোসল করিয়ে নিজে কবরে নেমে তার দাফনকার্য সম্পন্ন করেছিলেন। চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণ ও নেতাকর্মীর প্রতি ওনার মমত্ববোধ প্রশ্নাতীত।

নালার উপর যখন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করেছিলেন তখন অনেকেই ওনার সমালোচনা করেছিলেন। আজ সেই শিক্ষাপীঠে ২০ হাজারের অধিক ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করছেন। যারা এই শহরেরই নাগরিক, আপনার আমার ভাই- বোন,সন্তান।যখন মেয়র ছিলেন তখন সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কতগুলো স্কুল -কলেজ নির্মাণ করেছিলেন আপনারা কি ভুলে গেলেন?

এক-এগারো সরকার যখন ক্ষমতায় তখন
আওয়ামীলীগের প্রত্যেক নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মামলা হয়েছিল।সবাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল । একমাত্র উনিই চট্টগ্রাম ছেড়ে কোথাও যাননি।পরে দল সরকার গঠন করলে সবাই রাজনৈতিক বিবেচনায় সব মামলা প্রত্যাহার করেছিলেন।একমাত্র ব্যতিক্রম উনি। চাইলে উনিও পারতেন কিন্তু উনি উনার মামলা প্রত্যাহারের কোন আবেদন করেননি।

অন্তত গত ২০ বছরে উনাকে মুজিব কোট ছাড়া আওয়ামীলীগের কোন মিটিং,সমাবেশে কেউ দেখেছেন বলে মনে করতে পারেন?(ঘরে ছাড়া)।আমি কখনো দেখিনি।বঙ্গবন্ধুর আদর্শ শুধু বুকেই নয় পোশাকেও ধারণ করেছেন তিনি। চাইলে অন্য সবার মত শার্ট প্যান্ট ,স্যুট বুট উনিও পরতে পারতেন।এমপি লতিফ সাহেবের উপর ক্ষেপার অন্যতম কারণ বঙ্গবন্ধু র পোশাকের অবমাননা।বঙ্গবন্ধুর প্রতি অগাধ ভালবাসা ছিল।বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে কারো সাথে আপোষ করেনি।

দীর্ঘদিন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। চাইলে হাজার কোটি টাকার মালিক হতে পারতেন । কিন্তু বলতে পারবেন কোটিপতি তালিকায় কত নম্বরে ওনার নাম ? লিখতে গেলে এরকম আরো অনেক কথাই লেখা যায় কিন্তু লাভ কি? আমি কাউকে বলছি না যে ওনাকে নেতা মানতে কিংবা পুজা করতে ।সম্মান যদি করতে ইচ্ছে না করে তাও সমস্যা নেই!!! বীর মহিউদ্দিন সাধারন মানুষের মাঝেই আছেন,,, থাকবেন।আজীবন মানুষ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক হিসাবে আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ত্ব দেন।রাজনীতির সুবাদ পুরুষ কিংবদন্তি জননেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী মত আদর্শিক ও সাহসী নেতা ছিলেন বলে দেশ আজ স্বাধীন।মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে জাতির পিতার আদর্শের উজ্জীবিত হয়ে প্রতিশোধ নেওয়া ছিল তার প্রধান কাজ।দেশ ও বঙ্গবন্ধুর জন্য তিনি ছিলেন অকুতোভয় দুঃসাহসী যোদ্ধা।

চট্রগ্রাম চশমাহিল জামে মসজিদ কবরস্থানে আজও সমাহিত আছে দেশপ্রেমিক, বঙ্গবন্ধুপ্রেমিক বীরের।
২০১৭ সালে সালে ১৫ডিসেম্বর চট্রগ্রাম ম্যাক্স হাসপাতালে শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন।চট্টগ্রাম লালদিঘী পাড়ে ইতিহাসের স্মরণীয় নামাজের জানাযার পর তার পারিবারিক কবরস্থান সমাহিত করা হয়।

যুগে যুগে তিনি তার কর্ম দিয়ে দেশ ও জাতির নিকট বিপ্লবীদের প্রেরণার উৎস,আদর্শিক,শ্রমিক শ্রেণির বটবৃক্ষ,ছাত্র ও যুব সমাজের অভিভাবক,আদর্শিক দুঃসাহসিক,বঙ্গবন্ধু প্রেমিক,মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ,বরেণ্য সমাজসেবক হিসাবে মানুষের মণিকোঠায় বেচে থাকবে।সত্যিকারের একজন বীরের চলে যাওয়া মানে দেশ ও জাতির প্রভুত ক্ষতি সাধিত হল।তার কর্ম ও চিন্তা চেতনা নিয়ে আজকের প্রজন্ম এগিয়ে যেতে হবে বহুদূর।আজীবন মানুষের মনের কোঠায় তিনি অম্লান ও শ্রদ্ধার পাত্র হিসাবে বেচে আছে।আজকের প্রজন্ম তার থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে তার আত্ত্বার শান্তি পাবে।

লেখকঃ
সদস্য, অর্থ পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটি,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
সাবেক ছাত্রনেতা ও কলামিস্ট।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট