মোঃ কায়সার. চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ মধ্যম সর্দ্দার পাড়ায় অবস্থিত শ্রী শ্রী জোড় মা ও লোকনাথ সেবাশ্রমে ৮ম বার্ষিকী উপলক্ষে আড়ম্বরপূর্ণ মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর একে একে শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ, চণ্ডীপাঠ, চণ্ডি যজ্ঞ, বস্ত্রদান, গীতা দান, সাধু সঙ্গ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মহাপ্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশ থেকে আগত অসংখ্য ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ মহতী উৎসবে বিশেষ অতিথি ও সাধুসন্তদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান আরও অলোকস্নাত হয়ে ওঠে।
উপস্থিত মহান অতিথিগণ ছিলেন,শ্রী শ্রী লোকনাথ মন্দির ও শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর সেবাশ্রম, সুচিয়া চন্দনাইস-এর অধ্যক্ষ শ্রীমৎ অজপানন্দ ব্রহ্মচারী,শ্রী শ্রী লোকনাথ সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ডালিম বড়ুয়া,
শ্রী শ্রী লোকনাথ সেবাশ্রম, কালিয়াস-এর অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সোমনাথ চৈতন্য মহারাজ,শ্রী হৃদয় মনি, শ্রীমৎ রননাথ ব্রহ্মচারী, শ্রী রিগেন কান্তি দাস, শ্রীমৎ কৈবল্য শক্তি চিন্তাহারি ধ্যান,শ্রীশ্রী ১০৭ শান্তিরাজ বালক সাধক নাগরাজ শ্রী হরিদাস ব্রহ্মচারী,শ্রীমৎ ননি গোপাল সাধু (মৃদুলানন্দ), শ্রীমৎ গোপী মহারাজ, শ্রীমৎ পরিতোষাতানন্দ ব্রহ্মচারী,
শ্রীমৎ রাজিবানন্দ, শ্রী কৃষ্ণানন্দ ব্রহ্মচারী, ডালিম মাতাজি, শ্রীমতি সুরুচি নাথ।
এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার বহু সাধু-সন্ন্যাসীবৃন্দ এই মহোৎসবে যোগ দেন।
শ্রী শ্রী জোড় মা ও লোকনাথ সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রী রিমন সর্দ্দার ব্রহ্মচারী তাঁর বক্তব্যে বলেন,
এই মন্দির বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমার মূল লক্ষ্য হলো মানব সেবা—মায়ের সেবাশ্রমের পাশাপাশি একটি অনাথ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করা। এই কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে প্রয়োজন অর্থের, যা ভক্তবৃন্দের প্রণামী ও অনুদানের মাধ্যমেই সম্ভব। তাই সকল সনাতনী ভক্তের কাছে অনুরোধ, আসুন আমরা সবাই মিলে এই আশ্রমকে টিকিয়ে রাখি ও উন্নত করে গড়ে তুলি।”
অনুষ্ঠানে দূর-দূরান্ত থেকে আগত হাজার হাজার ভক্ত একত্রিত হন, যারা পুরো আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলেন।
Leave a Reply