মোঃ কায়সার, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
কেরানীগঞ্জে জাতীয় সরকার গঠন ও ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ছাত্র নেতা সাজ্জাদ আল ইসলাম: “মাঠে না থাকা মাহফুজরা এখন উপদেষ্টা, আর রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ পালিয়ে যাচ্ছে – এই দায়ভার কার?
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা), ১৬ মে ২০২৫:
জাতীয় পার্টি (জাপা)সহ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল ও একটি নিরপেক্ষ জাতীয় সরকার গঠনের দাবিতে কেরানীগঞ্জের কদমতলিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা জেলা দক্ষিণ শাখার সভাপতি ও আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী ছাত্রনেতা সাজ্জাদ আল ইসলাম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য তাহসান খান শান্ত, যুব অধিকার পরিষদ ঢাকা জেলা দক্ষিণের সভাপতি কামাল হোসেন হিমেল, সাধারণ সম্পাদক তানজিল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সাজ্জাদ আল ইসলাম বলেন,
“আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টি (জাপা)সহ ১৪ দলের নিবন্ধন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। গত ১৫-১৬ বছর ধরে তারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, গুম, খুন ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে এসেছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সব অপরাধে এরা সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছে এবং তাদের অপকর্মকে বৈধতা দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,
“বর্তমান জাতীয় সংকটময় সময়ে একটি নিরপেক্ষ জাতীয় সরকার ছাড়া এই দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। অথচ বিগত ৫-৭ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে যাদের কোনো ভূমিকা ছিল না, যারা আন্দোলনের মাঠে একদিনও ছিল না—সেই মাহফুজদের মতো মুখোশধারীরা এখন ছাত্র আন্দোলনের কোটায় উপদেষ্টা হয়ে বসে আছে। আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দোষর, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদরা আজ নির্লজ্জভাবে দেশ ত্যাগ করছে। এই দায় কার? এই দায়ভার গোটা জাতির, কিন্তু বিশেষ করে তাদের যারা সুবিধাবাদী রাজনীতির মাধ্যমে সত্য ও ন্যায়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।”
সমাবেশের শেষ পর্যায়ে যুব অধিকার পরিষদ ঢাকা জেলা দক্ষিণের সভাপতি কামাল হোসেন হিমেল বলেন,
“জাতীয় পার্টিকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ কার্যকর করতে হবে। বাংলাদেশে কোনো বেইমানদের ঠাঁই হবে না। আওয়ামী লীগের আমলে একটিও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিতে আমরা জাতীয় পার্টিকে দেখিনি। বরং জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে এই জাতীয় পার্টি ছাত্রদের ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল। আওয়ামী লীগ যেভাবে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ হয়েছে, একইভাবে জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করা হবে—এটাই এখন সময়ের দাবি।”
সমাবেশে বক্তারা সরকারের পদত্যাগ, ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল ও একটি নির্বাচনী নিরপেক্ষ জাতীয় সরকার গঠনের দাবিতে আন্দোলন আরও বেগবান করার আহ্বান জানান।
Leave a Reply