1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বাঘাইছড়িতে শিক্ষার মান উন্নয়নে অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত এপেক্স ক্লাব অব বান্দরবান, রংপুর,তিস্তা,বেগম রোকেয়ার যৌথ আয়োজনে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠিত। পটিয়ায় বিভিন্ন মাদ্রাসার এতিম কুরআন হাফেজ ছাত্রদের “মনের ইচ্ছে পূরণ” অনুষ্ঠান সম্পন্ন অনেক মেগা প্রকল্পে অপচয় হয়, পর্যটন নিয়ে ভাবা হয়না: চট্টগ্রামে বিটিবির প্রোগ্রামের অভিমত পটিয়ার ঐতিহ্যবাহী হাবিলাসদ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯২ ব্যাচের পূর্ণ মিলনী অনুষ্ঠান আগামী ১০ জুন আওয়ামী লীগ এর নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভ জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ব্যাচ ৯৪ বিডির আয়োজনে ফ্রেন্ড ফেস্টিভ্যাল ২০২৫। মেহনতি মানুষের পাশে নয়, লুটপাটে ব্যস্ত ছিল আওয়ামী লীগ” — মোস্তাক খান রাঙামাটি পাবলিক কলেজের জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আবারও বাংলাদেশি আহত

জীবন যুদ্ধ সংগ্রামের আরেক নাম সনিয়া

  • সময় শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩
  • ৪৯২ পঠিত

মনিরুল ইসলাম রিয়াদ,

চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রাম নগরীর ডিসিহিলে প্রবেশ করতে দেখা মিলবে ৬ বছর বয়সী ফুলবিক্রেতা ছোট্ট সনিয়ার!
ফুল আছে! ফুল নিবেন বলে হাতে বিভিন্ন কালারের গোলাপ নিয়ে ডাকছে ছোট্ট একটি শিশু। বয়স ৬ কি ৭ হবে, এটুকুন বয়সে সড়কে ফুল বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে। বলছিলাম ৬/৭ বছর বয়সী ফুলবিক্রেতা সনিয়া’র কথা। চট্টগ্রাম নগরীর ডিসিহিল গেলে দেখা যাবে ছোট্ট এই শিশুটিকে। বাবা হাড়ানো আর কর্মহীন মায়ের মুখে দু’মুঠো আহার তুলে দিতে সংসারের গুরুদায়িত্ব ছোট কাঁধে তুলে নিয়েছে সে। যে বয়সে সহপাঠীদের সাথে হেসে খেলে স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল, সে বয়সে সড়ক দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে এই শিশুটি। এই ডিসিহিলের পাশ দিয়েই কোটি টাকার লাক্সারি গাড়ি হাকিয়ে চলাচল করেন অনেকে তবে কারো চোখ আটকায়নি ছোট্ট এই মায়াবী কন্যাকে দেখে। বাবা হাড়ানোর কারণে এখন পড়াশোনা একেবারে বন্ধ।

বাবার স্থানে হাল ধরেছেন সনিয়া পরিবার দেখাশুনার জন্য মাও অনেকটা এখন কর্মহীন। সংসারে উপার্জনের প্রায় সব পথ বন্ধ৷ আর তাই এদিক সেদিক কিছুই বিবেচনা না করে আহারের সন্ধানে নেমে পড়েছে ছোট্ট সনিয়া। মা আর ছোট্ট তিনবোন এক ভাইসহ সংসারে পাঁচ সদস্য তার। পাঁচ সদস্যদের ব্যায়ভার একাই বহন করে ছোট্ট সনিয়া। দৈনিক ১.০০০ টাকার গোলাপ বিক্রি করলে ৫/৬শত কিংবা ৪শত টাকা আয় হয় তার। আর এই দিয়েই চলে সনিয়ার পরিবার। ফুল বিক্রি করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় না খেয়ে থাকে সে। আর দিন শেষে সব টাকা মায়ের হাতে তুলে দেয়। সকাল থেকে বিকেল অবধি ফুল বিক্রি করে আবার কখনও কখনও সন্ধ্যা নেমে আসলেও বিক্রি করতে দেখা যায় তাকে। সনিয়া এসব ফুল সংগ্রহ করে পাইকারি ফুল বিক্রির দোকান থেকে। ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন ভোরে দোকান থেকে এসব ফুল সংগ্রহ করে সে।

সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর যদি সনিয়ার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিত তাহলে আট দশটা শিশুদের মতো হেসেখেলে বড় হয়ে উঠতো সনিয়া। সনিয়া তার পরিবারের সাথে বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরী কোতোয়ালা থানাধীন গোয়াল পাড়াতে বসবাস করেন।
প্রতিবেদনটি দেখার পর দরদ জাগবে সবার মনে, এগিয়ে আসবেন সবাই। পাশে দাড়াবেন ছোট্ট সনিয়ার আর এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট