বাংলাদেশের পরিবহন খাতে চলমান অবৈধ চাঁদাবাজি কেবল পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের জন্য নয়, বরং পুরো জনগণের জন্য একটি জুলুম ও বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি দেশের অর্থনীতি, আইন-শৃঙ্খলা এবং ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণের পথে একটি বড় বাধা।
সচেতন নাগরিক ও ছাত্রদের পক্ষ থেকে মোস্তানছিরুল হক চৌধুরী বলেন, “পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকার, প্রশাসন এবং সাধারণ জনগণের সমন্বিত উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।”
তিনি বলেন, এই অবৈধ চাঁদাবাজির নেতিবাচক প্রভাব বহুস্তরে বিস্তৃত।
যেমন:
পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পায়, যার বোঝা যাত্রী ও পণ্যের দামের ওপর পড়ে।
মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।
আইনের শাসন ব্যাহত হয়, চাঁদাবাজদের পেছনে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পৃষ্ঠপোষকতা থাকায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে ওঠে।
ব্যবসায়িক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।
সন্ত্রাস ও অপরাধ বৃদ্ধি পায়, চাঁদাবাজ চক্র সন্ত্রাস, চুরি, হত্যার মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধ হলে দেশবাসী নিম্নলিখিত উপকার ভোগ করবে:
পরিবহন ও পণ্যের ভাড়া কমবে।
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে।
আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
শ্রমিকরা নিরাপদে কাজ করতে পারবে।
যানজট কমবে, চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরবে।
সন্ত্রাস ও মাস্তানি হ্রাস পাবে।
সরকারি রাজস্ব আয় বাড়বে এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
মোস্তানছিরুল হক চৌধুরী বলেন, “আমরা চাই, পরিবহন খাতটি একটি ন্যায়ভিত্তিক, স্বচ্ছ ও নিরাপদ ব্যবস্থায় পরিণত হোক। এজন্য সরকারের পাশাপাশি আমাদের সকল নাগরিকের সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে।”
লেখকঃ
সচেতন নাগরিক ও ছাত্র
Leave a Reply