পেকুয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের পেকুয়া টইটংয়ে ২০১৬ সালে সংঘঠিত হোছাইন হত্যামামলাকে কেন্দ্র করে গত ২০ জুন টইটংবাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামি মো.রুবেল হোসেনের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসী দল একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কাছারি পাহাড় এলাকার মৃত একরাম মিয়ার ছেলে কবির হোসেন(৫৫) এর উপর নারকীয় হামলা চালিয়েছে দাবী করে আজ ২৬ শে জুন বিকাল ৫টায় নিজ বসতবাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংঘটিত হামলার ঘটনায় করা মামলার বাদী ও আহত কবির হোসেনের পুত্রবধূ মর্জিনা আক্তার তামান্না। তামান্না তাঁর বক্তব্যে বলেন, ২০১৬ সালে সংঘঠিত টইটং এর হোছাইন হত্যাকান্ডের জের ধরে গত ২০ জুন রাত ৮টার সময় টইটংবাজারে শতশত মানুষের সামনে প্রকাশ্যে তথাকথিত হোছাইন হত্যামামলার আলোচিত আসামী মো. রুবেল হোসেন(২৫) এর নেতৃত্বে তার বাবা মুফিজুর রহমান(৫০), তার ছোট ভাই রকিবুল ইসলাম(২০) ও তার মা মাবিয়া বেগম(৪৫)সহ ৮/৯ জনের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল আমার শাশুর কবির হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করেন। তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী মহি উদ্দিন বিদেশ থেকে আসার একমাস পর ওই হোছাইন হত্যামামলায় আমার শাশুর স্বাক্ষী দিয়েছে উল্লেখ করে আমাদের পরিবারের কাছ থেকে ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দাবী করে আসছিল। ঘটনার দিন ওই দাবীকৃত টাকা টইটংবাজারে আবার চাইলে, আমার স্বামী মহি উদ্দিন টাকা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিলেই, সে প্রথমে আমার স্বামী মহি উদ্দিনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করে। প্রাণে বাঁচতে আমার স্বামী একটি দোকানে আশ্রয় নেন, আমার স্বামীকে মারতে না পেরে সন্ত্রাসীরা আমার শাশুরের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এতে আমার শাশুর আব্বার ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, ঘাট ও পিটে মারাত্মক কুপের রক্তাক্ত জখম হয়।
ওই মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামী রুবেলের ছোট ভাই রকিবুল ইসলাম বয়স গোপন রেখে আদালতকে বিভ্রান্তি করে জামিনে এসে বাদীর স্বামী মহি উদ্দিনকেও জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বলে দাবী করেন তামান্না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্ত্যে, কবির হোসেনের ছেলে মহি উদ্দিন বলেন, আমাকে হত্যা করতে না ফেরে ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথমে রুবেল আমার বাবার ঘাড়ে কুপ মারে, তার বাবা মুফিজ ও তার ছোট ভাই রকিবুল ইসলাম আমার বাবার ডান হাতে কুপ মেরে হাত কেটে পেলে। এখন আমার বাবা মৃতুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার চাই এবং প্রশাসনের কাছে আমার পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তা চাই। সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যক্ষদর্শীরাও বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply