
মোঃ শহিদুল ইসলাম
বিশেষ সংবাদদাতাঃ
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কঠোর অভিযানে ফের বড় ধরনের অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)-এর পরিচালিত বিশেষ অভিযানে বাঁশখালী থানা এলাকা থেকে ৩টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও ৮ রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অস্ত্র পরিবহনে ব্যবহৃত একটি টেম্পুসহ ২ জন অস্ত্র কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট–ফেজ ২’-এর আওতায় অপরাধী, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের নজিরবিহীন অভিযান চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে একটি চৌকস আভিযানিক দল বাঁশখালী থানার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি জোরদার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল আনুমানিক ৮টা ২০ মিনিটে বাঁশখালী থানাধীন বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরীয়ার দক্ষিণ চৌমুহনী বাজার এলাকায় বাঁশখালী-চট্টগ্রামগামী পাকা সড়কে মনোয়ারের দোকানের সামনে একটি সন্দেহজনক টেম্পু গাড়ি (চট্ট-মেট্রো-ফ-১১-০২২৬) থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়।
তল্লাশিকালে টেম্পু গাড়ির ভেতরে অত্যন্ত কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৩টি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৮ রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়, যা তাৎক্ষণিকভাবে জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় অস্ত্র বহনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত খুরশিল আলম (৩২), পিতা—মোঃ সেলিম, সাং—ফরিদপুর, সেলিম মাঝির বাড়ি, হাতিয়া, নোয়াখালী এবং মোঃ হাসান ওরফে আকাশ (২৭), পিতা—জহিরুল ইসলাম, সাং—জঙ্গল কাইয়া, পুখিয়া, ভূজপুর, চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ কোথা থেকে এসেছে এবং এগুলো কোনো সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা—তা উদঘাটনে পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ সুপার মহোদয়ের কঠোর নির্দেশনায় চট্টগ্রাম জেলার প্রতিটি থানা এলাকায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার এবং সন্ত্রাসী গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান আরও বেগবান করা হয়েছে।
অপরাধ দমনে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সচেতন নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জেলা পুলিশ বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ আপসহীন অবস্থানে রয়েছে।
Leave a Reply