আনোয়ার হোসেন
বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে গোপন মিটিং করার দায়ে নিষিদ্ব ছাত্রলীগের চার সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
সোমবার (০৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় মুসলিম ব্লক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় আর বেশ কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ থেকে ১২ জনের একটি ছাত্রলীগের গোপন গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক মেসেঞ্জারঅ্যাপ প্ল্যাটফর্মে সংগঠিত হয়ে গোপনে কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। শুরুতে এই গ্রুপের নাম ছিল ‘মুসলিম ব্লক ছাত্রলীগ’; পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে ‘ইনশাআল্লাহ’ রাখা হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ হাবিব আল হাছানের কাছে আসা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানা যায়। সন্ধ্যার পর গোপন এক বৈঠকের প্রস্তুতির সময় এলাকাবাসীর সহায়তায় চারজনকে আটক করা হয়।পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের মোবাইল ফোনে মেসেঞ্জারঅ্যাপে কথোপকথনের ভিত্তিতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এবং তাদের কে একজন বড় ভাই দিকনির্দেশনা দেন সে বিষয় ও জানা যায়। কিন্তু কে সে বড় ভাই তার বিষয়ে আটককৃতরা মুখ খুলেন নি।
ওই কথোপকথন থেকে আরো জানা যায়, আগামীকাল ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় মিছিলে অনুপ্রবেশ করে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।
আটককৃতরা হলেন, মুসলিম ব্লক গ্রামের ১। মোঃ বাদল (পিতা মোঃ আলী আহমেদ) ২। মোঃ ওমর ফারুক (পিতা মোঃ মাসুদ) ৩। মোঃ সাকিব (পিতা মোঃ মনির হোসেন) ৪। মোঃ সাদ্দাম হোসেন (পিতা মোঃ দেলোয়ার হোসেন) এবং বাকী যারা দৌড়িয়ে পালিয়ে যায় তারা হলে, ১। মোঃ রিয়াদ ২।মোঃ মারুফ ৩। মোঃ সুজন ৪। মোঃ অনিক ৫।মোঃ ইমরান ৬।সাজ্জাদ ও ৭। মোঃ শরিফ।
উল্লেখ, গত বছর ৫ই আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে গেলে আটককৃত ব্যক্তিরাই মুসলিম ব্লক এলাকায় আওয়ামী লীগের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় বলেন স্থানীয় সূত্রে যায় যায়।
বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: হুমায়ুন কবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আটককৃত চারজন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তারা মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। ধৃত চারজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply